বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় কাবু সারা দেশ। সন্ধ্যা নামতেই পূর্ণ শক্তিতে নেমে আসে পৌঁষের শীত। সঙ্গে হিমালয় থেকে ধেয়ে আসা হিম বাতাস।
সকালে দেশের বিভিন্নস্থানে বয়ে যায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শীতের তীব্রতা বাড়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে নেই কেউ। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় অফিসগামী মানুষ এবং স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, কী বলছে আবহাওয়া অফিস
নাকাল রাস্তার পাশে থাকা অসহায় ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর জীবন। এক টুকরা গরম কাপড়ও জোটেনি অনেকের ভাগ্যে। তাই খড়কুটো জ্বালিয়েই চলে শীত নিবারণের চেষ্টা। খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ যেনো দেখার নেই কেউ।
তবে সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। যদিও ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও দিবা ভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: শীতে কষ্টে আছেন কুড়িগ্রামের মানুষ
এতে আরও বলা হয়, এ সময় মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড় যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
আরও পড়ুন: কনকনে শীতে জবুথবু উত্তরের জনজীবন
এ কদিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শুরুর দিকে দেশের উত্তরাংশে হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পারে। আর এ সময়ের শেষের দিকে তাপমাত্রা কমতে পারে।
আবহাওয়া সংক্রান্ত আরও সংবাদ পড়তে ক্লিক করুন এখানে
]]>