তিস্তায় সেতু রক্ষা বাঁধে ধস, ভাঙন আতঙ্কে ১২শ’ পরিবার

৩ সপ্তাহ আগে
রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুরে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর পশ্চিম পাশের সেতু রক্ষা বাঁধটিতে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে ৯০০ মিটার বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার জায়গার ব্লক ধসে গিয়ে স্থানটিতে প্রায় ৭০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে মহিপুর সেতু, লালমনিরহাট-রংপুর অঞ্চলের যোগাযোগ সড়কসহ ওই এলাকার প্রায় ১২০০ পরিবার।

জানা যায়, উজানের ঢল আর কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বিপদসীমা বাড়া কমা শুরু হয়েছে তিস্তার পানি। ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোত বাঁধের গায়ে সরাসরি আঘাত করায় নতুন করে আবারও ধস দেখা দিয়েছে।


স্থানীয়রা জানান, গত বছর থেকে শুরু হওয়া এই ভাঙ্গনে দফায় দফায় ভাঙছে সেতু রক্ষা বাঁধটি তারপরও মেরামতের কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে হুমকির মুখে পরেছে মহিপুর সেতুসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম।

গংগাচড়ার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গত দুই বারের বন্যায় বাঁধের ক্ষতি হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো সংস্কার কাজ করেনি। এবারের বর্ষায় পানি বাড়তেই একের পর এক সিসি ব্লক তলিয়ে যাচ্ছে। নিচে গভীর গর্ত তৈরি হয়ে ভাঙন আরও ভয়াবহ হচ্ছে।’

আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের আখ জোগান নিয়ে শঙ্কা, দাম বাড়ানোর দাবি চাষিদের

মহিপুরের কৃষক আজিজুল হক বলেন, ‘এই বাঁধ দ্রুত ঠিক করা দরকার। না হলে সেতু ভেঙে যেতে পারে। সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমাদের গ্রামে স্থায়ী জলাবদ্ধতা হবে, জমি বালুচরে ঢেকে যাবে, চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে।’


আরেক কৃষক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘বাঁধ রক্ষা ছাড়া আমাদের সামনে কোনো ভবিষ্যৎ নেই। বসতভিটা ও সেতু রক্ষা করতে হলে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।’


এ বিষয়ে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বাঁধটি সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় এটির রক্ষণাবেক্ষণ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাতে নেই। যে কারণে তারা এটির সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

আরও পড়ুন: কমছে তিস্তার পানি, তবুও কাটেনি বন্যার শঙ্কা

এদিকে এলজিইডি রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমরা খবর নিয়েছি আজ সকাল থেকে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে সেতু রক্ষা বাঁধটিতে। আমাদের একটি টিম কাজ করছে। তবে পানি বেশি থাকায় কোনো পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না। আশা করছি পানি কমে গেলে দ্রুত বাঁধটি মেরামত করা যাবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন