এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ঢাকা বিমানবন্দরে মরদেহটি পৌঁছায়। পরে নানা প্রক্রিয়া শেষে রাত ২টায় মরদেহটি বুঝে পান পরিবারের সদস্যরা।
নিহত নুর আলম ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের উমর খানের ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে তার স্ত্রী ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
স্বজনরা জানান, সংসারের হাল ধরতে পাঁচ মাস আগে কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে পাড়ি জমান ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নুর আলম খান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে দুই মাসের মাথায় গত জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। নানা জটিলতার কারণে তার মৃত্যুর তিন মাস পর মরদেহ এসেছে দেশের মাটিতে।
আরও পড়ুন: সৌদিতে ফুড ডেলিভারি করতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবকের মৃত্যু
জানা যায়, ছেলে-মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ২০২৪ সালের নভেম্বরে সৌদি আরবে পাড়ি জমান নুর আলম খান। দালালের মাধ্যমে গিয়ে সেখানে কাজ না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে কাজের সন্ধান করেন।
গত ২০ জানুয়ারিতে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে রিয়াদে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে রিয়াদ ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জীবন বাঁচাতে এ সময় তার দুটি পা কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। মৃত্যুর খবরে তার বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহতের আত্মীয় মাহফুজ খান জানান, ধার-দেনা করে বিদেশ গেছিলেন আমার ভায়রা নুর আলম খান। পৈতৃক ভিটা বাদে তার কোনো জমি নাই। তার মৃত্যুতে স্ত্রী সন্তানের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে গেছে। কে দেখবে এই সংসার।
তিনি বলেন, ‘নুর আলম প্রবাসে মারা যাওয়ার তিন মাস পর মরদেহ দেশে আসলো। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জানাজা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।’