বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণটি অনুষ্ঠিত হবে।
এ মামলায় শেখ রেহানার পক্ষ থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে প্লট বরাদ্দের আবেদন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্লট বরাদ্দের নির্দেশ এবং আসামিদের মিথ্যা হলফনামার বিষয়ে আদালতকে নিশ্চিত করেন সাক্ষীরা।
সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন মামলার বাদীরা আদালতকে জানান, প্লট বরাদ্দের জন্য ব্রিটিশ এমপি ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক শেখ হাসিনার ওপর চাপ প্রয়োগ করেন।
এসব মামলার একটিতে শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, আরেকটিতে সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন এবং অপর মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন আসামি।
এর আগে গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অপরদিকে বাকি ৩ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এসব মামলায় একটিতে শেখ রেহানা, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ আসামি ১৭ জন। আরেকটিতে আজমিনা, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন এবং অপর মামলায় রাদওয়ান, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রাজউকের প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ৬ মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। অযোগ্য হলেও তারা পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন।

৩ সপ্তাহ আগে
৮







Bengali (BD) ·
English (US) ·