২০০৯ সালে ভাড়ানী খালের উপর নির্মিত ব্রিজটি স্থানীয়দের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াত পথ ছিল। ২০১৫ সালে একটি পণ্যবাহী কার্গোর ধাক্কায় এর একাংশ বিধ্বস্ত হয়, যা মেরামত করা হয়েছিল। তবে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বালুভর্তি আরেকটি কার্গোর ধাক্কায় ব্রিজের অর্ধেক অংশ ভেঙে খালে পড়ে যায়। এরপর থেকে এটি আর মেরামত করা হয়নি, ফলে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার হয়। স্থানীয় বাসিন্দা জুলহাস হোসেন বলেন, ‘ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে নৌকায় যাতায়াত করছে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’
অভিভাবক মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, ‘কিছুদিন আগে নৌকায় উঠতে গিয়ে এক শিক্ষার্থী পানিতে পড়ে যায়। এ ধরনের ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। দ্রুত এখানে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন।’
লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান আশরাফ বলেন, ‘ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থীদের খেয়া নৌকায় পার হতে হয় অথবা দুই কিলোমিটার ঘুরে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কমে গেছে। দ্রুত নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার।’
আরও পড়ুন: মরুর ‘সাম্মাম’ চাষ হচ্ছে পটুয়াখালীতে
এ বিষয়ে পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মীর আলী হোসেন বলেন, ‘বিধ্বস্ত ব্রিজটি সরিয়ে সেখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে সেতুটির ডিজাইন তৈরির কাজ চলছে, দ্রুতই টেন্ডার আহ্বান করে নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।’
প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ও শত শত শিক্ষার্থী এই ব্রিজ ব্যবহার করে চলাচল করত। এলাকাবাসীর একটাই দাবি—অবিলম্বে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হোক।
]]>