তিন বছর পর ইউক্রেন-রাশিয়ার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক শুরু

৩ সপ্তাহ আগে
সংঘাত অবসানে দীর্ঘ তিন বছর পর প্রথমবার সরাসরি আলোচনায় বসেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। শুক্রবার (১৬ মে) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে এই আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার তিন মাস পর ২০২২ সালের এপ্রিলে সবশেষ বৈঠকে বসেন প্রতিবেশী দুই দেশ।

বিস্তারিত আসছেরুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন মতে, চলমান সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বানের প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফের সংলাপ শুরুর আগ্রহ দেখান। তার প্রেক্ষিতে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

এতে আরও বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। রাশ প্রতিনিধি দল সারাদিন ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের আগমনের অপেক্ষায় ছিল।

 

ইউক্রেনের নেতা ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার প্রতিনিধিদলের নাম ঘোষণা করেন। এতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তম উমেরভের নেতৃত্বে ১২ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। 

 

অন্যদিকে ইস্তাম্বুলের আলোচনার জন্য গত বুধবার (১৪ মে) প্রতিনিধি দলের তালিকা প্রকাশ করে ক্রেমলিন। রুশ প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে আলোচনায় প্রতিনিধিত্ব করছেন তারই প্রতিনিধি ভ্লাদিমির মেদিনস্কি।

 

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে শান্তি প্রসঙ্গে ট্রাম্প / ‘পুতিন আর আমি একসাথে না হওয়া পর্যন্ত কিছুই ঘটবে না’

 

বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে তুরস্কের মধ্যস্থতায়। ইউক্রেন ও রুশ প্রতিনিধি দল একই কক্ষের দুই পাশে টেবিলে বসেছেন। তাদের মাঝখানে বসেছেন তুর্কি কর্মকর্তারা।  

 

এদিকে বৈঠক শুরুর আগে জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের লক্ষ্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা। অন্যদিকে রুশ নেতারা বৃহস্পতিবার বলেন, তাদের মনোযোগ দীর্ঘমেয়াদী শান্তি এবং ‘সংকটের মূল কারণগুলো’ খুঁজে বের করার ওপর।

 

ক্রেমলিনের বক্তব্যের অর্থ হলো- তারা আসলে যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী নয়, তারা ক্রেমলিনের দৃষ্টিকোণ থেকে এই যুদ্ধের সূত্রপাত কী তা মোকাবেলা করতে আগ্রহী। অথচ রুশ প্রতিনিধি দলের প্রধান গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, রাশিয়া আপমের মন নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।

 

পর্যবেক্ষকরা এটাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ এবং রাশিয়ার পক্ষ থেকে কিছুটা নমনীয়তার লক্ষণ হিসেবে দেখছেন। রুশ প্রতিনিধি দলের একজন ব্যক্তিই কেবল আপসের কথা বলেছেন। বাকি সবাই তাদের মূল দাবিতে অটল।

 

আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা নিয়ে যা বলল তুরস্ক

 

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ না থাকা এবং কমপক্ষে পাঁচটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের উপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ। জেলেনস্কির পক্ষে যার সবই সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। 

 

তথ্যসূত্র: বিবিসি ও আরটি 


 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন