বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর মহসিনের আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আনিসুল হককে আদালত থেকে বের করার সময় স্থানীয় জনতা তার ফাঁসির দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে। অনেকেই তাকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল ৯টায় আনিসুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। আদালতে হাজির করার আগে তিনি কোর্ট হাজতে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আনিসুল-সালমান-আতিক-মামুনসহ কয়েকজনের ফের রিমান্ড মঞ্জুর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গুলিবিদ্ধ হন শ্রমিক আশিক মিয়া। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত আশিক মিয়ার মা কুলসুম বেগম বাদী হয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ১১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগ দলীয় জেলার সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, গোলাম দস্তগীর গাজী, নজরুল ইসলাম বাবু, আবদুল্লাহ আল কায়সার, লিয়াকত হোসেন খোকা, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান এবং ভাতিজা আজমেরী ওসমান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, ‘রিমান্ডে আনিসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন হবে। সেই সময় হত্যাকাণ্ডে আরও কারা জড়িত ছিল, তাদের তথ্যও জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: নতুন মামলায় সালমান-আনিসুল-পলকসহ ১২ জন গ্রেফতার
নিহত আশিক মিয়ার (২০) বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার গকুলনগর পশ্চিমপাড়া এলাকায়। তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর বিসিক শিল্পনগরীতে একটি কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
]]>