বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ৩৬ রান। জয়ের জন্য ৮৪ বলে দরকার আরও ১০০ রান।
এদিন রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলের খাতায় ১ রান যোগ হতেই উইকেট হারায় লাল সবুজরা। ইনিংস শুরুর প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। ছক্কা হাঁকিয়ে চাপ কমানোর চেষ্টা করেছিলেন সাইফ। কিন্তু ওয়ান ডাউনে নামা তাওহীদ হৃদয় সঙ্গ দিতে পারেননি। ১০ বলে ৫ রান করে তিনি ক্যাচ তুলে দেন। দুটি উইকেট-ই তুলে নেন শাহিন আফ্রিদি। ৪ বল পর এজ হয়ে পয়েন্ট ক্যাচ তুলে দেন সাইফও। ১৫ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারের মারে ১৮ রান করে বিদায় নেন তিনি। এবার শিকারি হারিস রউফ।
আরও পড়ুন: তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে তাসকিনের একশ উইকেট
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেছিল পাকিস্তান। তবে বল হাতে তাসকিন-রিশাদরা যেভাবে শুরু করেছিল তাতে শতরান তোলা নিয়েও শঙ্কায় ছিল সালমান আলীর দল। ৪৯ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছিল পাকিস্তান। কিন্তু এরপর ফিল্ডিংয়ে হঠাৎ ছন্দপতন হয় টাইগারদের। তিনবার জীবন পেয়ে ২টি ছক্কা হাঁকান শাহিন আফ্রিদি। এক জীবন পেয়ে ২ ছক্কা ও ১ চারের মারে ২৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন নাওয়াজ। ২৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রানে থামেন মোহাম্মদ হারিস। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় সালমান আলীরা।
আরও পড়ুন: শাহিন-হারিস ও নাওয়াজের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পাকিস্তানের
লাল সবুজদের পক্ষে ২৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ৪.৫ ইকোনমিতে মাত্র ১৮ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী। ৩৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। ২৮ রান খরচায় উইকেটশূন্য ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব।
]]>