আইসিসি মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।
সেই সময় থেকে নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ কার্যকর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনা করতে না দেয়া এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।
আরও পড়ুন:আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিলো রাশিয়া
আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়িও আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করে তারা।
এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
আইসিসির এই পদক্ষেপের জবাবে, তালেবান বলে, তারা আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয় না। এই পরোয়ানাকে ‘একটি স্পষ্ট শত্রুতামূলক কাজ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অবমাননা’ বলে অভিহিত করেছে।
আরও পড়ুন:‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ / তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে যা বললো রাশিয়া
তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।
সূত্র: বিবিসি
]]>