বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দেয়ালে সাঁটানো একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে দুর্বত্তরা হত্যার কারণ লিখে গেছেন বলে জানান স্বজনরা।
নিহত তোয়াজ উদ্দিন শেখ ওই গ্রামের হারিস আলী শেখের ছেলে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে তোয়াজ উদ্দিনের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা তার স্বজনদের খবর দেন। পরে স্বজনরা জানালা দিয়ে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের তালা ভেঙে ওই ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘স্ত্রীর যন্ত্রণা সইতে না পেরে’ চিরকুট লিখে প্রাণ দিলেন যুবক
প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডে কে বা কারা জড়িত তা জানা যায়নি।
স্থানীয়রা আরও জানান, নিহত তোয়াজ উদ্দিন শেখ গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে নিজ গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। স্ত্রী সন্তান না থাকায় তিনি গ্রামের বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। সবশেষ গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) গ্রামের অনেকের সঙ্গে তার দেখা হয়। এরপর থেকে কেউ আর তাকে দেখতে পাননি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হাত পা বাঁধা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আমি জাহান্নামি, মরার কারণ পান্না’ চিরকুট লিখে প্রাণ দিলো স্কুলছাত্রী
প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে আমরা ধারণা করছি। সুরতহাল শেষে মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পরে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ দিকে নিহত ওই ব্যবসায়ীর ঘরের দেয়ালে সাঁটানো একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে দুর্বৃত্তরা হত্যার কারণ লিখেছেন। তবে পুলিশ এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।