যদি স্বামী স্ত্রীর অজান্তেই তিন তালাক দিয়ে থাকে, তাহলে তিন তালাক হয়ে যায়। স্ত্রীর জানা জরুরি নয়। ‘স্ত্রীকে না জানালে তালাক হয় না’, কথাটি সঠিক নয়। স্ত্রী জানুক বা না জানুক তালাক পতিত হয়ে যাবে।
সুতরাংস্বামী যদি তিন তালাক কোর্টের মাধ্যমে দিয়ে থাকে, তাহলে স্বামী স্ত্রী হিসেবে কোনো সম্পর্ক বাকি থাকবে না। এমন অবস্থায় যদি স্বামী স্ত্রী ঘর সংসার করে তাহলে তারা যিনার গুনাহ করছেন।
এক্ষেত্রে যদি মহিলাটির অন্যত্র বিয়ে হয়, সেখানে সহবাসসহ স্বাভাবিক ঘরসংসার করতে থাকে, কোন কারণে দ্বিতীয় স্বামী মারা যায়, বা তালাক দেয়, তাহলে ইদ্দত শেষে এ নারী আবার প্রথম স্বামীকে বিয়ে করতে পারবে। এছাড়া এ স্বামীর সাথে ঘর সংসার করার কোন সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: কী কী কারণে স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবেন
অন্যের অজান্তেই তালাক দিলে তালাক বৈধ হবে (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু ৯/২৯১) যদি স্বামী মিথ্যা বা মজা করে তালাক স্বীকার করে তবে তা সংঘটিত হবে (রাদদুল মুহতার ৪/৪৪০)
যদি সে তাকে তালাক দেয়, তবে সে তার জন্য আবার হালাল হবে না যতক্ষণ না সে অন্য স্বামীকে বিয়ে করে, তবে যদি তারা মনে করে যে তারা আল্লাহর সীমাবদ্ধতা বজায় রাখবে তবে তাদের ফিরে যেতে কোন দোষ নেই। তিনি এমন লোকদের কাছে স্পষ্ট করে দেন যারা জানে (সুরা বারাহ ২)
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আল্লাহর রসুল আল্লাহর নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তিনবার তালাক দেয়, তবে সে তার জন্য বৈধ নয় যতক্ষণ না সে অন্য বিয়ে করে। (সুনান দারা কুতনি ৩৯৩২)