বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে ঢাকার উত্তরা ৪নং সেক্টরের মাটির মসজিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শামীম রহমান বগুড়া সদরের নিশিন্দারা কারবালা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
গ্রেফতারকালে তার কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের ৪টি এটিএম কার্ড, তার স্বাক্ষর করা ১০টি ব্যাংকের ফাঁকা চেক, দুটি মোবাইল ফোন এবং ডজন খানেক সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ার আজিজুল হক কলেজে শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ
পুলিশ জানায়, শামীম রহমান মূলত ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রায়ই ঘোরাফেরা করতেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে কখনও কখনও ব্যারিস্টারও দাবি করতো। সম্প্রতি যুবদলের স্থানীয় দুই কর্মীকে গত ২২ জুন ফোন দিয়ে বগুড়ার একটি পাঁচ তারকা হোটেলের কফিশপে ডেকে নেয় এবং কেন্দ্রীয় এবং জেলা কমিটিতে পদবী পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ৩ লাখ টাকা দাবি করে। এর মধ্যে কৌশলে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়েও নেয়। পরে ওই দু’জন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে শামীম রহমান একজন প্রতারক।
এর পরপরই হারুণ-উর-রশিদ নামে একজন গত ২ জুলাই রাতে শামীম রহমানের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় দুদকের তিন চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ডিবি পুলিশের ওসি ইকবাল বাহার বলেন, শুধু দলীয় নেতাকর্মীই নয় তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে শামীম পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও পদ এবং পোস্টিং-এর কথা বলে টাকা দাবি করে আসছিল।
]]>