তারাকান্দায় সেপটিক ট্যাংকে নারীর মরদেহ, ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার প্রেমিকের

৪ সপ্তাহ আগে
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ গুম করেন কথিত প্রেমিক রোহান (২৫)।

রোববার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

নিহত নারীর নাম সুফিয়া খাতুন (৩৪)। তিনি ফুলপুর উপজেলার পাতিলগাঁও গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে। গ্রেফতার হওয়া রোহান তারাকান্দা উপজেলার আলাল মিয়ার ছেলে।

 

পিবিআই জানায়, গত ২৯ জুন ছাগল বিক্রি করতে তারাকান্দা বাজারে যান সুফিয়া। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরিবারের করা সাধারণ ডায়েরির তিন দিন পর, ৩ জুলাই সকাল ১০টার দিকে তাকনী দাদরা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে অজ্ঞাত পরিচয়ের নারী মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

আরও পড়ুন: বিশেষ অভিযানে আরও ১৪৫৪ জন গ্রেফতার

 

মামলা দায়েরের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রোববার ফুলপুর উপজেলার বেপারীপাড়া এলাকা থেকে রোহানকে গ্রেফতার করে পিবিআই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহান স্বীকার করে, সুফিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

 

ছাগল বিক্রির ৪ হাজার টাকা ও মোবাইল নিয়ে সে রোহানের সঙ্গে দেখা করতে এলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরির পর দাদরা গ্রামের পরিত্যক্ত ওই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রোহান তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে কথাকাটাকাটির জেরে রোহান ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে নিহতের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।

 

পিবিআই জানায়, ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রোহানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন