বরিশালের মামুলি ১২৪ রানের জবাবে সাইফ হাসান ও আলেক্স হেলসের ব্যাটে জিতেছে রংপুর। ৩ ম্যাচে এটা তাদের তৃতীয় জয়। ঢাকা ক্যাপিটালসকে হারিয়ে এবারের বিপিএল শুরু করেছিল তারা, দ্বিতীয় ম্যাচে হারায় সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। বরিশাল দেখল প্রথম হার। আগের ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে হারিয়েছিল তামিম ইকবালের দল।
১৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর হেলস ও সাইফের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় রংপুর। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা আজিজুল হক তামিম আরেক অভিষিক্ত ইকবাল হোসেন ইমনকে মারতে গিয়ে প্রথম বলেই গালি অঞ্চলে ক্যাচ দেন। তাওফিক খান ৩ বলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। তার ঘাতকও যুব এশিয়া কাপ জয়ী ইমন।
আরও পড়ুন: তাসকিনের রেকর্ড বোলিংয়ের পর বিজয়-বার্লের ঝড়ে রাজশাহীর দুর্বার জয়
শুরুর দিকে ম্যাচের দাবি অনুযায়ী খেলেন সাইফ ও হেলস। তবে সাইফ শেষদিকে গতি বাড়িয়ে অর্ধশতক তুলে নেন। ৪৬ বলে ৬২ রানের ইনিংসে ৬টি চার ও ৩টি ছয় হাঁকান তিনি। হেলস ৪১ বলে করেন ৪৯ রান।
এর আগে ১২৪ রানে অলআউট হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের দুই ওপেনার শুরুতে ভালো কিছুর আভাস দেন। নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তামিম ইকবাল মিলে প্রথম ৩ ওভারে ২৫ রান করেন। তবে এরপর হঠাৎ করেই পতন শুরু হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। শান্তকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন শেখ মেহেদী। তবে শান্তর বিদায়ের পরেও ওই ওভারে ৩ বাউন্ডারিতে ১৩ রান নেন তামিম।
পঞ্চম ওভারে বরিশালের পতনের সূচনা করেন আকিফ জাভেদ। ফর্মে থাকা তাওহীদ হৃদয়কে কেবল ৪ রানে সাজঘরের পথ ধরান পাকিস্তানের এই পেসার। পরের ওভারে তামিম ইকবালকে বোল্ড করেন নাহিদ রানা।
আরও পড়ুন: বিপিএলে লজ্জার রেকর্ডে ভাগ বসালেন লিটন
পাওয়ারপ্লের পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ৩১ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন কাইল মেয়ার্স। তবে মাত্র ৩ বলের ব্যবধানে এই দুই ব্যাটার আউট হলে আবারও চাপে পড়ে যায় বরিশাল। গত ম্যাচের দুই নায়ক ফাহিম আশরাফ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও কিছুই করতে পারেননি। মাত্র ১ রান করে আউট হয়েছেন ফাহিম। ১০ রান করে রিয়াদ আউট হন দলীয় ৮৭ রানে।
শাহিন শাহ আফ্রিদি ২ বাউন্ডারিতে ৮ রান করেন। তাকে ফেরান খুশদিল শাহ বোল্ড করে। ১৬ ওভার ৫ বলে ১০৬ রানে ৯ উইকেট হারায় বরিশাল। শেষদিকে নবি নাহিদ রানার এক ওভারে ১৫ রান। কিন্তু পরের ওভারে ফ্রি হিট বলে রান আউট হয়ে তিনি ফিরলে ১০ বল আগে থামে বরিশালের ইনিংস। ১৯ বলে ২১ রান করেছেন নবি।
]]>