তামিম ঝড়ের পর দ্রুত ৩ উইকেট নিল চট্টগ্রাম, জমে উঠেছে শিরোপার লড়াই

৪ সপ্তাহ আগে
১৯৫ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে যেমন শুরু দরকার, ফরচুন বরিশালকে ঠিক তেমন শুরুই এনে দিয়েছেন তামিম ইকবাল এবং তাওহীদ হৃদয়। তবে নবম ওভারে শরিফুল ইসলাম একাই তামিম ইকবাল এবং ডেভিড মালানের উইকেট তুলে নিয়ে বরিশালের ছন্দপতন ঘটান। আরেক সেট ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়কে একাদশ ওভারে আউট করেন নাইম ইসলাম।

ভালো শুরুর পর দ্রুত উইকেট হারানোয় কিছুটা চাপে বরিশাল। তবে রান রেট নাগালের মধ্যেই রেখেছে দলটি। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ব্যাটিংয়েও ডেপথ রয়েছে। অন্যদিকে, ভারসাম্যপূর্ণ বোলিং আক্রমণ নিয়ে ম্যাচে ভালোভাবেই টিকে আছে চিটাগং। দুই দলের জমজমাট প্রতিদ্বদ্বিতায় জমে উঠেছে শিরোপার লড়াই।

 

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২ ওভারে বরিশালের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৮ রান। জয়ের জন্য শেষ ৮ ওভারে দলটির প্রয়োজন ৭৭ রান। উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহিম এবং কাইল মায়ার্স। এই দুজনের বিদায়ের পরেও আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রিশাদ হোসেন এবং মোহাম্মদ নবির মতো ব্যাটাররা। 

 

এর আগে মিরপুরে চিটাগংকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফে। ১২১ রানের জুটি হয় তাদের মধ্যে। ফরচুন বরিশালের কাইল মেয়ার্সের করা প্রথম ওভারে ৫ রান তুলেন খাজা নাফে, দুই ওভার শেষে সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২। এরপর স্ট্রিয়ারিং নিজ হাতে নেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার দুই চারে তৃতীয় ওভারেই আসে ১১ রান।

 

পরের ওভারে আরও একটু সরস হন কিংস ওপেনার, তানভীর ইসলামকে টার্গেট বানিয়ে ওই ওভারে চিটাগং তুলে ১৮। পারভেজ ওই ওভারে ২টি ছক্কা ও একটি চার মারেন। ৫ ওভার শেষে ৫১ রান করা চিটাগং পরের তিন ওভারে তুলে ২১। নবম ওভার থেকে আবার হাতখুলে খেলতে থাকেন দলটির দুই ওপেনার। ইবাদত হোসেনের ওভারে নাফে ৪৪ বলে ৬৬ রান করে আউট হলে ওপেনিং জুটি ভাঙে। ৭টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কা মারেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

 

আরও পড়ুন: প্রকাশ পেলো আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির থিম সং

 

উইকেট হারালেও মোমেন্টাম নষ্ট করেনি চিটাগং। ওয়ানডাউনে নামা গ্রাহাম ক্লার্ক বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন। এরমধ্যেই ১৬তম ওভারে তানভীর ইসলামের ওপর দিয়ে ২২ রান আদায় করে নেয় চিটাগং। তানভীরের প্রথম ওভারের মতো এই ওভারেও ইমন ২টি ছক্কা মারেন। সেই ইমন ১৭তম ওভারে ৪ বল মোকাবিলা করে মাত্র ২ রান করতে সক্ষম হন, ওই ওভারে রান আসে মাত্র ৪।

 

ইমন শেষ দিকে ধীরগতিতে খেললেও ক্লার্কের বিধ্বংসী ইনিংসে তাদের মধ্যে ৭০ রানের জুটি হয়। ক্লার্ক ২৩ বলে ৪৪ রান করে রানআউট হন। তিনি আউট হন ১৯.২ ওভারে, দলীয় ১৯০ রানে। শেষ ৪ বলে স্কোর বোর্ডে মাত্র ৩ রান যোগ করতে সক্ষম হয় চিটাগং। মোহাম্মদ আলী ৪ ওভারে খরচ করেন ২১ রান, তানভীর ২ ওভারে দেন ৪০।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন