আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসানের সরকার ভোটের আগে ভিন্নমত পোষণকারী ও বিরোধীদের ওপর কঠোর দমনপীড়ন চালায়। প্রধান দুই বিরোধী দলকেই নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়।
ফলে নির্বাচনের পরই রাজধানী দার-এস-সালামে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা অসংখ্য গাড়ি, পেট্রোল স্টেশন এবং থানায় আগুন দেয়। বিক্ষোভ দমনে দমনপীড়ন চালাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা পার্টি বিক্ষোভে শত শত মৃত্যুর দাবি করে।
দলটির মুখপাত্র জন কিটোকা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা যখন কথা বলছি, [দার-এস-সালাম]-এ মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩৫০ এবং মওয়ানজায় ২০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। যদি অন্যান্য জায়গার নিহতের সংখ্যা যোগ করি, তাহলে এটি প্রায় ৭০০ জন হবে।’
আরও পড়ুন: সুদানের এল ফাশারে দুইদিনে দুই হাজার মানুষ হত্যা, আরব দেশগুলোর নিন্দা
চাদেমা পার্টি জানিয়েছে, তাদের দলের সদস্যরা মৃতের সংখ্যা জানার জন্য সারাদেশের হাসপাতালগুলো ঘুরে দেখেছে। এএফপি জানিয়েছে, তারা একটি নিরাপত্তা সূত্র থেকে ‘একই সংখ্যা’ পেয়েছে। তবে আল জাজিরা জানিয়েছে, তারা নিহতের সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
তানজানিয়ার সরকারও হতাহতের কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। কেবল বলেছে, ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনার’ পর তাদের বাহিনী শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনছে। তবে জাতিসংঘ যে তথ্য দিয়েছে সেটি বিরোধী দলের দাবি করা সংখ্যা থেকে অনেক কম। সংস্থাটি শুক্রবার হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছেন।’
এদিকে আজ শুক্রবার বিক্ষোভ তৃতীয়দিনে গড়িয়েছে। তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে ফলাফল ঘোষণা বন্ধ রাখা দাবি জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার রাস্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। এছাড়া দেশের বেশিরভাগ জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট পল বিয়াকে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা
এর গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দার-এস-সালামের এমবাগালা, গোঙ্গো লা এমবোতো, কিলুভইয়া এলাকায় কারফিউ ভঙ্গ করে রাস্তায় নামেন মানুষ। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়। এছাড়া সেখানে গোলাগুলির শব্দও শোনা যায়।
তানজানিয়া ১৯৬১ সালে স্বাধীন হয়। এরপর থেকে দেশটির সরকার পরিচালনা করছে চামা চা মাপিনদুজি (সিসিএম) নামের একটি দল। যারা নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এই দলের নারী রাজনীতিক সামিয়া সুলুহু হাসান ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট হন। ওই বছর সাবেক প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি অফিসে মৃত্যুবরণ করেন।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৩







Bengali (BD) ·
English (US) ·