তাইজুল বিশ্বের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড বোলার: তামিম ইকবাল

৩ সপ্তাহ আগে
তাইজুল ইসলামকে বরাবরই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তামিম ইকবাল। এই বাঁহাতির ২০০ উইকেট প্রাপ্তির দিনেই তামিম বলেছিলেন, তাইজুল যথেষ্ট গুরুত্ব ও প্রাপ্য সম্মান পায় না। সিলেট টেস্টে বল হাতে দুই ইনিংসে উইকেটশূন্য ছিলেন। অনেকেই তো তার শেষ দেখেও ফেলেছিলেন। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্বরূপে ফিরলেন তাইজুল। এই বাঁহাতির দারুণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। এক পর্যায়ে বড় স্কোরের দিকে ছোটা জিম্বাবুয়েকে শেষ বিকেলে ধরাশায়ী করেছে টাইগাররা। আর ম্যাচে টাইগারদের ফিরে আসায় সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।


চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে তাইজুল ২৭ ওভার বল করে ৬টি মেডেনসহ ৬০ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন। এটি তাইজুলের টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬তম ফাইফার।


প্রথম দিনে তাইজুলের পরফরম্যান্সে ফের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তামিম ইকবাল। জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনার ফেসবুক পোস্টে এই বাঁহাতিকে 'এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড বোলার' হিসেবে অবিহিত করেছেন।


আরও পড়ুন: তাইজুল-নাঈমের ঘূর্ণিতে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ


তামিম লিখেছেন, 'এ মুহূর্তে সে বিশ্বের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড বোলার। এখনকার অন্যান্য বোলারের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথা বুঝতে পারবেন। আরও একবার পাঁচ উইকেট, দারুণ করেছো তাইজুল।'


 


তাইজুলকে নিয়ে বরাবরই উচ্চকিত তামিম। গত অক্টোবরে এই বাঁহাতি যখন দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন তখনও তাকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছিলেন তামিম।


আরও পড়ুন: তাইজুল ম্যাজিকে স্বস্তি নিয়ে প্রথম দিন শেষ করলো বাংলাদেশ


সে সময় তামিম লিখেছিলেন, 'অভিনন্দন তাইজুল ইসলাম। ২০০ টেস্ট উইকেট মানে বাংলাদেশের বাস্তবতায় দারুণ এক অর্জন। ৪৮ টেস্ট খেলে ২০০ উইকেট নেওয়া মানে আরও বড় অর্জন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে যথেষ্ট গুরুত্ব ও প্রাপ্য সম্মান সে সবসময় পায় না। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেও নায়কের মর্যাদা সেভাবে অনেক সময় পায় না। তবু নিজের কাজটুকু করে গেছে, দিনের পর দিন, বছরের পর বছর।'


তাইজুলকে নিয়ে পর্যাপ্ত আলোচনা হয় না বলে হতাশাও প্রকাশ করেছিলেন তামিম, 'আমাদের দুর্ভাগ্য, বিশ্ব ক্রিকেটেও যথেষ্ট আলোচনা তাকে নিয়ে হয় না। অথচ অনেক গ্রেট বোলারের চেয়েও কম টেস্ট খেলে ২০০ উইকেট হয়ে গেল তার। বড় কোনো দলের ক্রিকেটার হলে হয়তো তাকে নিয়ে আলোচনা আরও বেশি হতো।’
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন