এদিকে হেগসেথের এমন বক্তব্যের পর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যকে ‘উসকানিমূলক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি’ বলে আখ্যায়িত করে বেইজিং, যুক্তরাষ্ট্র ‘আগুন নিয়ে খেলছে।’
চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতা এবং আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (৩১ মে) সিঙ্গাপুরে শাংরি-লা ডায়লগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তনের জন্য চীন বাস্তবিক অর্থেই সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এশিয়ায় চীনের ভারসাম্য বিস্তারের বিষয়ে বাধা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাদের এশীয় মিত্রদের কেউ ভয় দেখাক তাও মেনে নেবে না ওয়াশিংটন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এশিয়ায় সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন, সতর্কবার্তা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো প্রতিরক্ষা খাতে তাদের জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, এমনকি জার্মানিও। যেখানে ইউরোপের দেশগুলো এতটা ব্যয় করছে, তখন এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন মিত্ররা আরও বড় হুমকির মুখেও প্রতিরক্ষায় তুলনামূলকভাবে কম ব্যয় করলে তা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। উত্তর কোরিয়ার হুমকিও তো উপেক্ষা করা যাবে না।
হেগসেথের এই বার্তাকে স্পষ্টভাবে চীনবিরোধী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চীনের কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়াও এসেছে দ্রুত। সিঙ্গাপুরে অবস্থিত দূতাবাস এক বিবৃতিতে হেগসেথর বক্তব্যকে উসকানিমূলক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে আখ্যায়িত করেছে। বেইজিং দাবি করে, আঞ্চলিক উত্তেজনার মূল উসকানিদাতা হচ্ছে ওয়াশিংটন।
হেগসেথর ভাষণকে আগের প্রশাসনগুলোর চেয়ে অনেক বেশি কঠোর এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে বেইজিং। প্রতিক্রিয়ায় আরও বলা হয়েছে, ‘চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাইওয়ানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়াবাড়ি করা অথবা আগুন নিয়ে খেলা করা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: বাণিজ্য আলোচনার জন্য পাকিস্তানের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন: ট্রাম্প
]]>