২০১১ সালে আপিল বিভাগের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর থেকেই রাজপথে নামে বিএনপি, জামায়াতসহ তৎকালীন বিরোধীদলগুলো। যার অংশ হিসেবে ১৪ সালের নির্বাচনও বর্জন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিলেও ২০২৪ সালে আবারও বয়কট করে ভোট। একইসঙ্গে রাজপথে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার ছিল দলগুলো।
অবশেষে ফিরেছে কাঙ্ক্ষিত সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। এর মধ্য দিয়ে সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরলেও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অন্তর্বর্তী সরকারে অধীনেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কার্যকর হবে চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল না করলে, হয়তো ফ্যাসিবাদ কর্তৃত্ববাদ বাংলাদেশে ফিরে আসতো না। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।’
কাঠামো টেকসই না হলে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাও ফ্যাসিবাদে রূপ নিতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে টেকসই করতে চাইলে, এমন একটা কাঠামো তৈরি করতে হবে যে কাঠামো আর কখনো নিজেও কতৃত্ববাদ বা ফ্যাসিবাদ হয়ে না আসে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এসে নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আওয়ামী লীগ, ফলাফল ৩ বিতর্কিত নির্বাচন
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং তার অধীনে নির্বাচন হওয়াতে মানুষের ভোটার অধিকার সুনিশ্চিত হয়েছিল। সুতরাং মানুষের কাছে প্রমাণিত হলো- গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার জন্য নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা একটা সঠিক মেকানিজ, যেটা বাংলাদেশে কাজ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের কাছে মূল বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা সাংবিধানিক মৌলিক কাঠামো কি না। আমরাও আরগুমেন্ট করেছি, হ্যাঁ এটা মৌলিক কাঠামো, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং আমাদের মানুষের ভোটাধিকার স্বার্থে।’
এদিকে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য তৈরি হলেও এই সরকারের রূপরেখা নিয়ে ঐক্য তৈরি হয়নি। জুলাই জাতীয় সনদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন প্রক্রিয়ার কিছু অংশে নোট অব ডিসেন্ট আছে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের।
]]>
২ দিন আগে
২






Bengali (BD) ·
English (US) ·