সোমবার (২৬ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কোনো দ্বিমত নেই। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট করার জন্য অধিকাংশ দল নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে কার্যকরভাবে পৃথক করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এবং প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করার ব্যাপারে সব দল নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। কিছু জায়গায় আইনজীবীদের মতামত নেয়ার কথা বলেছে অনেকে। নির্বাচন কমিশনের জন্য পূর্ণাঙ্গ আইন করার ব্যাপারে সবাই একমত।
আরও পড়ুন: যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, সেগুলোও জানানো হবে: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, বিচারকদের চাকরি নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে সুপ্রিম কোর্টের ওপর নাস্তা করার জন্য সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সংশোধন করার সুপারিশের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে দলগুলোদ। এ ছাড়া বিচারকদের রাজনৈতিক আনুগত্য প্রদর্শন বা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশকে অসদাচরণ হিসেবে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান করার সুপারিশের বিষয়ে সব দল একমত।
নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে তিনি জানান, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আইনগত ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পাঠানোর বিধান করতে একমত হয়েছে অধিকাংশ দল। তবে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংসদ নির্বাচনে বারিত করার লক্ষ্যে আরপিও সংশোধন করার ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দলগুলো। সেইসঙ্গে ভোট জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একমত অধিকাংশ দল। পৃথক তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন করার প্রস্তাবে অধিকাংশ দল নীতিগতভাবে একমত।