নেত্রকোনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে মগড়া নদী। পৌরসভার ভেতরে নদীর ছয় কিলোমিটার এলাকায় ফেলা হচ্ছে গৃহস্থালির আবর্জনাসহ বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য। দখল আর দূষণে নদী হারাতে বসেছে তার চিরচেনা রূপ। পরিণত হচ্ছে খাল ও ময়লার ভাগাড়ে।
একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যক্তি মালিকানায় নির্মাণ করা হচ্ছে স্থাপনা। যে কারণে বর্ষা হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় শহরজুড়ে। পৌর কর্তৃপক্ষের নাকের ডগাতেই এমন অবৈধ দখলদারিত্বের কারণে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তারা বলেন, ডাস্টবিন থাকলেও মানুষ সেখানে ময়লা না ফেলে নদীতে ময়লা ফেলছে। এতে দূষিত হচ্ছে নদী।
আরও পড়ুন: বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নদী দূষণ মোকাবিলায় এডিবির সহযোগিতা চাইলেন পরিবেশ উপদেষ্টা
তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, সচেতনতা বাড়ানো ও পর্যাপ্ত ডাস্টবিন তৈরিসহ দখল উচ্ছেদে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। নেত্রকোনা স্থানীয় সরকার পৌর প্রশাসক এবং উপপরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম সরদার বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কিছু প্রকল্প শিগগিরিই হাতে নেয়া হবে। এতে নদী দূষণসহ এসব সমস্যা দূর হবে।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলছে। প্রকল্প পাস হলে দ্রুতই উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হবে। নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ডিপিপি প্রণয়ন করা হচ্ছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নদীটিতে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ৫২২টি দখলদার চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
]]>