ভোলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার নারীকে সোমবার (৩০ জুন) রাতে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতেই তার ডাক্তারি পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার সকালে নির্যাতিতা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যান। তার স্বামী স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় এখনও মামলার মূল আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে তজুমদ্দিন বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন। একই দাবিতে মোল্লা পুকুর এলাকায় মানববন্ধন পালন করেছে স্থানীয় একটি গ্রুপ। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু বলেন, ‘এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। মামলার ৩ নম্বর আসামি রাসেল নামের একজনকে ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। প্রকৃত আসামির বদলে ছাত্রদল নেতা রাসেলের নাম প্রচার করা হচ্ছে, যা উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’
আরও পড়ুন: ভোলায় স্বামীকে আটকে মারধর, স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ
এদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং নৈতিক স্খলনের অভিযোগে উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিনকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি মামলার দুই নম্বর আসামি।
উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ইকবাল হোসেন লিটন ও সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় দল নেবে না।’
তজুমদ্দিন থানা সূত্র জানায়, ঘটনার তদন্ত ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আদালতের পুলিশ পরিদর্শক শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, গ্রেফতার ঝর্ণা বেগমকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
]]>