ঢালিউডের চিরসবুজ গায়ক-নায়ক জাফর ইকবাল

১ সপ্তাহে আগে
বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন জাফর ইকবাল। সত্তর দশকের রোমান্টিক ঘরানার এ নায়কের আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) শুভ জন্মবার্ষিকী।

১৯৫০ সালের আজকের এদিনে ঢাকায় জন্ম নেন জাফর ইকবাল। দর্শকমহলে নায়ক হিসেবে পরিচিতি পেলেও জীবনে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন গায়ক হিসেবে। পরে কণ্ঠশিল্পীর পরিচয় বদলে হয়ে উঠেন স্টাইল আইকন নায়ক।

 

দেশের স্বনামধন্য সংগীত পরিবারে জাফরের জন্ম হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি টান ছিল। কিন্তু বড় হয়ে অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক বাড়ে এ অভিনেতার।

 

বাংলাদেশের সুপরিচিত কণ্ঠশিল্পী  শাহানাজ রহমতুল্লাহর ভাই ছিলেন জাফর। বড় ভাই আনোয়ার পারভেজও নামকরা সংগীতজ্ঞ। তাই গানের মাধ্যমেই চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতা খান আতাউর রহমানের সঙ্গে পরিচয় হয় নায়কের। এরপরই গান থেকে সরাসরি অভিনয় জগতে পা রাখেন।

 

‘আপন পর’ সিনেমার মাধ্যমে বাংলাদেশের সিনেমায় রুপালি জগতে পা রাখেন তিনি। এরপর একে একে অভিনয় করেন ১৫০টিরও বেশি সিনেমায়।

 

 সংগৃহীত

 

তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ভাই বন্ধু, বন্ধু আমার, নয়নের আলো, সূর্যসংগ্রাম, অবুজ হৃদয়, দিনের পর দিন, বেদ্বীন, অংশীদার, মেঘবিজলী, বাদল ইত্যাদি।

 

গায়ক হিসেবে নায়ক জাফর ইকবালের গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে হয় যদি বদনাম হোক আরও, সুখে থেকো ও আমার নন্দিনী, তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন ইত্যাদি।

 

নিজের দক্ষ অভিনয় দিয়ে ঢালিউডের হার্টথ্রব নায়কে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। সুরেলা গানের জাদুতে গায়ক হিসেবেও পেয়েছিলেন দর্শকপ্রিয়তা।

 

আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল সালমান শাহ হত্যার রিভিশন মামলার শুনানি

 

গায়ক ও নায়ক ছাড়াও জাফর ইকবালের আরও একটি বড় পরিচয় রয়েছে। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় ঋতুপর্ণাকে নিয়ে নিউইয়র্কে বড় চমক দেবেন জায়েদ খান

 

ঢালিউডের চিরসবুজ এ নায়ক বেঁচে থাকলে আজ ৭৫তম জন্মদিন উদযাপন করতেন। কিন্তু হঠাৎই ১৯৯২ সালে ৮ জানুয়ারি মাত্র ৪২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান গুণী এ তারকা।  

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন