শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, লাল সন্ত্রাসী অপতৎপরতা চালিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ডাকসু নির্বাচনকে বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিগত ১৫ বছর বাম সংগঠনগুলো আওয়ামী লীগের বি টিম হিসেবে কাজ করেছে। তারা এখন নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়।
এ সময় তাদের এ অপতৎপরতার চেষ্টা রুখে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে লাল সন্ত্রাসী মেঘ মল্লার বসুকে গ্রেফতারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ওয়াজ মাহফিলে সুদের বিরুদ্ধে যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ
সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা সেন্ট্রাল লাইব্রেরি এলাকায় গ্রাফিতি মুছে ফেলেন ও নানা স্লোগান লিখে দেন।
শুক্রবার ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে মেঘমাল্লার বসু লিখেছেন, ‘একমাত্র পথ হলো লাল সন্ত্রাস। প্রান্তিক জনগণের সুরক্ষার জন্য প্রতিরোধমূলক সহিংসতা। যতদিন আমরা শুধু প্রার্থনা সভা এবং মিছিল করে যাব, যা কখনো সহিংস হওয়ার ক্ষমতা রাখে না, ততদিন তুমি তোমার সাথীদের সুরক্ষিত করতে পারবে না। মানুষ তোমাকে পছন্দ করবে, কিন্তু কেউ অনুপ্রাণিত হবে না।’
মেঘমল্লা বসুর এমন মন্তব্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঢাবি ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
আরও পড়ুন: দেয়ালে ‘সমন্বয়ক মৃত্যু, প্রস্তুত হও’ লিখে হত্যার হুমকি
প্রসঙ্গত, লাল সন্ত্রাস বা রেড টেরর হলো সোভিয়েত রাশিয়ায় বলশেভিকদের মাধ্যমে পরিচালিত রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং মৃত্যুদণ্ডের একটি প্রচারণা। যা প্রধানত চেকা নামক বলশেভিক গোপন পুলিশের মাধ্যমে করা হতো। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯১৮ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুতে শুরু হয়েছিল এবং ১৯২২ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। ভ্লাদিমির লেনিনের হত্যা চেষ্টা এবং পেট্রোগ্রাদ চেকা নেতা মোইসেই ইউরিতস্কি ও পার্টি সম্পাদক ভি. ভলোদারস্কির সফল হত্যাকাণ্ডের পর, যা বলশেভিক গণপ্রতিহিংসার জন্য প্রতিশোধমূলক বলে অভিযোগ করা হয়। লাল সন্ত্রাস ফরাসি বিপ্লবের ত্রাসের শাসনের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে এবং এর লক্ষ্য ছিল বলশেভিক শক্তির বিপক্ষে রাজনৈতিক বিরোধিতা, প্রতিপক্ষ এবং অন্য যেকোনো ধরনের হুমকি নির্মূল করা।
]]>