নীলক্ষেত এলাকায় দেখা গেছে, মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ থেকে নিউমার্কেট যাওয়ার রাস্তার বাম পাশে বিএনপি এবং ডানপাশে জামায়াতের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
তবে সেখানে কোনোরকম উত্তেজনা বা অস্থিরতা দেখা যায়নি। সমবেতদের দূরে সরিয়ে রাখতে পুলিশের তৎপরতা দেখা গেছে।
জনতার ভিড় দেখা গেছে শাহবাগ এলাকায়ও। জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিপুল সংখ্যক জনতার উপস্থিতি দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: যে নির্বাচন আশা করেছিলাম, তা হয়নি: আবিদুল
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ডাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ চলে।
এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ ভোটের বিপরীতে ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।
ডাকসুতে ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হয়েছে।
এবারের ডাকসু ভোটে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে অন্তত ১০টি প্যানেল অংশ নিয়েছে। এর বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন প্রার্থীদের আরেকটি অংশ।
এবারের নির্বাচনে রয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জুলাই আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), সাতটি বাম ছাত্র সংগঠনের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’, জুলাই আন্দোলনের নেত্রী উমামা ফাতেমার ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’, ছাত্রশিবির, তিন বাম সংগঠনের ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ অন্তত ১০টি প্যানেল।
দিনভর কোনো ধরনের সংঘাত সংঘর্ষ ছাড়াই ভোটগ্রহণ হলেও প্রার্থীদের অনেকে একে অপরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি ভোটে কারচুপির অভিযোগও তুলেছেন কেউ কেউ।
]]>