গত ১২ সেপ্টেম্বর মাস্টারদা সূর্যসেন হলের একটি দোকান থেকে টেস্টিং সল্ট (এমএসজি) পাওয়ায় হলের ভিপি আজিজুল হক দোকানিকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন।
টেস্টিং সল্টের বিষয়ে প্রথমে দোকানদার অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে খাবারে তা মেশানোর কথা স্বীকার করেন তিনি। এ সময় ভিপির পক্ষ থেকে দোকানদারের সঙ্গে একটি লিখিত চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয়, যাতে তিন দিনের মধ্যে জরিমানা না দিলে দোকানের চুক্তি বাতিলের সুপারিশ করার কথা উল্লেখ ছিল।
এর দুদিন পর রোববার সূর্যসেন হলের ক্যান্টিন মালিককে খাবারের মান উন্নত করতে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেন আজিজুল। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির একাডেমিক ভবনে শিবিরের সেনেটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন
সেখানে তিনি বলেন, ৪২ বছর ধরে ক্যাফেটেরিয়া চালাচ্ছেন, অথচ শিক্ষার্থীরা ন্যূনতম উন্নয়নও দেখেনি। তাহলে আপনাদের রাখা হবে কেন? কর্মচারীরা যখন স্বাস্থ্যবিধি মানে না, হাফপ্যান্ট পরে রান্না করে, রান্নাঘরে সিগারেট খায়— তখন এর দায় ম্যানেজারের। ১৫ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনুন, না হলে দায়িত্ব ছাড়তে মানসিক প্রস্তুতি নিন।
এ বিষয়ে ভিপি আজিজুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এ ব্যবস্থা নিয়েছেন।
জরিমানার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, জরিমানা করার এখতিয়ার ছাত্রনেতাদের নেই। এ ধরনের সিদ্ধান্ত হলে অবশ্যই হল প্রশাসনের মাধ্যমে করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির সিনেট সদস্য হচ্ছেন ডাকসুর যে ৫ জন
]]>