বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতার কারণে জীবনের জন্য হুমকি এমন চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ঢাকায় আক্রান্ত সব এলাকায় অবিলম্বে মশা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মো. সালেকুজ্জামান সাগর নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম ও মাহফুজ বিন ইউসুফ।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৯২
ঢাকার আক্রান্ত এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালেকুজ্জামান সাগর গত মাসে রিটটি করেন। রিটে মশার উপদ্রব এবং চিকনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
আইনজীবী মো. সালেকুজ্জামান সাগর বলেন, মশার উপদ্রব নজিরবিহীন হলেও তা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না দেখে রিটটি করা হয়। মশা নিয়ন্ত্রণে কী কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানিয়ে দুই সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
]]>