রাজধানীতে পৌষের শুরুতেই জেঁকে বসেছে শীত। বিশেষ করে সূর্য ডোবার পর থেকে ঠান্ডার অনুভূতি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বছরের শুরুর শীতেই কাবু হয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ রিকশাচালক মজনু মিয়া। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শীতের কষ্ট; কমেছে সহ্য ক্ষমতাও।
মজনু মিয়া বলেন, ‘অনেক শীত। খুবই ঠান্ডা লাগছে। সহ্য করার মতো না। বাঁচার কারণে তো চলতে হবে। এ ছাড়া উপায় নেই।’
মজনু মিয়ার মতো খেটে খাওয়া মানুষদের শীতের সঙ্গে রাতভর যুদ্ধে নিতে হচ্ছে আগুনের উত্তাপ। পৌষের শুরুর শীত তাদেরকে ভাবনায় ফেলেছে আসন্ন মাঘ মাস নিয়ে। আর রাস্তার ধারে যাদের সংসার সেইসব ছিন্নমূল মানুষের ভোগান্তি উঠেছে চরমে।
তারা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এ সময়টাতে শীত বেশি পড়েছে। পৌষেই এ অবস্থা! সামনে তো মাঘ মাস রয়েই গেছে। কী হয়, কে জানে!
এদিকে আবহাওয়ার এই পরিবর্তন রাতভর শীতের সঙ্গে এনেছে কুয়াশাও। এতে বিঘ্ন ঘটছে যান চলাচলে, বাড়ছে দুর্ঘটনা।
গাড়ির চালকরা বলছেন,
গাড়ি চালানো খুব কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুয়াশার কারণে রাস্তায় কোনো কিছুই দেখা যায় না। সামনে সাদা হয়ে থাকে। কিছুই দেখা যায় না। এ কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষগুলো ঘটছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, চলতি বছরের শেষ এবং নতুন বছরের শুরুর সময়জুড়ে ২ থেকে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।
আবহাওয়া সংক্রান্ত আরও সংবাদ পড়তে ক্লিক করুন এখানে
]]>