ঢাকার যে রেস্টুরেন্টে ১০০ পাখির কলকাকলি শোনা যাবে, পড়া যাবে প্রিয় লেখকের বই

৪ সপ্তাহ আগে
রাজধানীর মিরপুরে এক নান্দনিক জায়গার নাম ‘মেঘবরণী’। এটি কেবল একটি রেস্টুরেন্টই নয় এখানে প্রায় ১০০ পাখির কলকাকলি মুগ্ধতা দেবে একরাশ। অন্দরসজ্জায় রয়েছে ভিন্নতার আবেশ। পরিবেশবান্ধব কাঠ, বাঁশের সুনিপুন কারুকাজে ঘেরা ‘মেঘবরণী’তে প্রিয় লেখকের বই ঋদ্ধ করবে আপনাকে।

স্বাস্থ্যসম্মত ও মুখরোচক পদ প্রতিদিনই আপনাকে দেবে ভিন্ন স্বাদের অভিজ্ঞতা। তাছাড়া বাচ্চাদের খেলাধুলার কর্নার– ছোটদের জন্য নিরাপদ ও আনন্দময় জায়গা, যেখানে তারা খেলে আর পরিবার নিশ্চিন্তে সময় কাটায়।

সবচেয়ে মুগ্ধতা দেবে পাখির বিশেষ কর্নার। যেখানে নানা প্রজাতির পাখির কলতানে ভরা পরিবেশ, শহরের কোলাহলের মাঝেও এনে দেয় প্রকৃতির প্রশান্তি। নিরিবিলি কাঠের ইন্টেরিয়র – দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা, যা অতিথিদের দেয় মুগ্ধতা।


এটি প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের প্রতিচ্ছবি। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক ও পুনঃব্যবহারযোগ্য উপকরণে জোর দেয়া হয়েছে। এখানকার গাছপালা, পাখির কর্নার ও খোলা বাতাস অতিথিদের এনে দেয় এক প্রশান্ত অনুভূতি।

 

 

আরও পড়ুন: বর্ষায় দেশের যেসব মনোমুগ্ধকর জায়গায় ঘুরতে যাবেন


এখানে এসে অতিথিরা শুধু খাবারের স্বাদেই মুগ্ধ হন না, সাথে প্রকৃতির সুরও উপভোগ করেন। রঙিন পাখির কিচিরমিচির, তাদের ডানার এলোমেলো খেলা আর প্রাণবন্ত উপস্থিতি পুরো পরিবেশকে করে তোলে সতেজ ও প্রাণবন্ত। ছোট থেকে বড় – সবার মনই ভরে যায় এই অনন্য কর্নারে এসে। সামুদ্রিক স্বাদ প্রেমীদের জন্য রয়েছে একেবারে অনন্য সব খাবার।


‘মেঘবরণী’র কর্ণধার মেজর রেজাউল করিম সুমন বলেন, ‘আলোক ছায়ার মাঝে গল্প আর ভালোবাসার ছোঁয়ায় কিছু মুহূর্তকে বিশেষ রূপ দিতে আমাদের প্রচেষ্টা এবং অনুভব। কোলাহলমুক্ত এক পরিবেশে আমরা হয়তো এক অনুভবের জায়গা তৈরি করতে পেরেছি। আমরা বিশ্বাস করি, এটি কেবল তথাকথিত রেস্টুরেন্ট নয়, এটি আদতেই এক অনুভূতির জায়গা। যখন কেউ কোন বিশেষ মুহূর্ত উদযাপন করতে আসেন তখন নিঃসন্দেহে তারা কেবল শুধু খাবার টেবিলে নয়, খোঁজেন এক স্মৃতির ঠিকানা।’

 

আরও পড়ুন: যদি ভালোবাসেন পাহাড় আর স্থাপত্য, ঘুরে আসুন শেরপুর


তিনি আরও জানালেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এমন এক পরিবেশ তৈরি করা যেখানে স্নিগ্ধ আলোয় পরিবারের হাসি মিশে যাবে, বন্ধুত্বের গল্প জমে উঠবে আর প্রত্যেক আয়োজনে থাকবে আন্তরিকতার ছোঁয়া। চলমান জীবনের ব্যস্ততার ভিড়ে মানুষ একটু থামুক, একটু শান্ত হোক আর বাংলা, পাকিস্তানি, চাইনিজ, কাবাব, কফি এবং ফ্রেশ জুসের সঙ্গ নিয়ে একটু জিরিয়ে নিক।’

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন