গত ২১ অক্টোবর ঢাকা আহছানিয়া মহিলা মিশন গার্লস এতিমখানায় প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে ১১ নভেম্বর অবিন্তা কবির ফাউন্ডেশন স্কুল, ১৩ নভেম্বর অভিযাত্রিক স্কুল, ২৩ নভেম্বর দূতাবাসের হল রুমে এবং ৫ ডিসেম্বর ঢাকার ফ্রেঞ্চ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে প্রদর্শনী হয়।
এরপর গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামে। জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ও তার স্ত্রী তোমোমি ইওয়ামা ২৩ নভেম্বর শিশুদের স্বাগত জানান।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রগুলো কেবল বিনোদনমূলক নয়, এগুলো জাপানের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের একটি জানালা হিসেবে কাজ করে। জাপানে আমরা অঙ্কন, ফিল্ম ও অ্যানিমেশনের মাধ্যমে গল্প বলতে ভালোবাসি।’
এই অনুষ্ঠান শিশুদের জাপানের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে অনুপ্রাণিত করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি শিশু এবং তাদের শিক্ষকরা এই উৎসবে অংশ নেন। শিশুরা প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলো খুব উপভোগ করে।
শিক্ষার্থীরা চারটি পুরস্কার বিজয়ী জাপানি শর্ট ফিল্ম উপভোগ করে: সেগুলো হল কোমানেকো: দ্য ফার্স্ট স্টেপ, গ্রান্ডপা’স স্টার ফায়ারওয়ার্কস, দেয়ার মাস্ট বি মোর দ্যান দ্যাট ও সুইট।
প্রদর্শনীর পর শিক্ষার্থীরা চলচ্চিত্র সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনা এবং তারা যা শিখেছে তা নিয়ে একে অপরের সাথে কথা বলে। উৎসব আয়োজনের নেতৃত্বে ছিলেন এলিয়েন আলকানতারা ফেরেস (ব্রাজিল), মনু ভার্মা (ভারত), পাওলা বেলফিওর (ইতালি), হাদজা সাতা সেক (বিশ্বব্যাংক) এবং তোমোমি ইওয়ামা (জাপান)।
]]>