ঢাকা-যশোর ট্রেনে বিমান ও গৃহায়ণ কর্মকর্তাদের বাকবিতণ্ডা, দেখে নেয়ার হুমকি

৪ সপ্তাহ আগে
ঢাকা থেকে যশোরগামী ট্রেনের ভেতর বাকবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে বিমান বাহিনী কর্মকর্তা দম্পতির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গেছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্কোয়াড্রন লিডার নাহিদ ইসলাম ও তার স্ত্রী স্কোয়াড্রন লিডার সাবিহা পরিবারসহ রূপসী বাংলা ট্রেনে ঢাকা থেকে যশোর আসছিলেন। একই ট্রেনে খুলনা বিভাগের জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন ও আরও তিন কর্মকর্তা ভ্রমণ করছিলেন। নড়াইল অতিক্রম করার পর ওয়াশরুম ব্যবহারের পর জিয়া উদ্দিন ভুলক্রমে বিমান বাহিনী কর্মকর্তার কামরায় প্রবেশ করলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নাহিদ ইসলাম মারধর করলে ট্রেন কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন।

 

আরও পড়ুন: ট্রেন ছাড়ার পর স্টেশন মাস্টারকে বলে ট্রেনে ওঠার সুযোগ নেই, পান্নাকে ট্রাইব্যুনাল

 

পরে রূপসী বাংলা ট্রেন যশোর স্টেশনে পৌঁছালে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ যশোর অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জনি তার সহযোগী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুপারভাইজার মো. আক্তারুজ্জামান, বিদ্যুতের খুলনা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আশিক আহমেদ, যশোরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার ও উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাসেল মিয়াকে নিয়ে নাহিদ ইসলাম ও তার স্ত্রীকে মারধর করেন।

 

যশোর রেলস্টেশনে নামার পর তারা রেল পুলিশের অফিসে যান। এরপর সেখানে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা, চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মামুনুর রশিদসহ সরকারি কর্মকর্তারা হাজির হন।

 

যশোর রেলস্টেশন ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এস আই জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। এসময় বিমান বাহিনী কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে স্কোয়াড্রন লিডার জামিল বেসামরিক কর্মকর্তাদের চলে যেতে বলেন। একইসাথে এ বিষয়ে সামরিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন। এরপর দুই পক্ষ রেলস্টেশন ত্যাগ করেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন