কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে সাদা-কালো জার্সিধারীরা। শেষ দিকে নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করে আবাহনী। তবে পিছিয়ে পড়ার পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মারুফুল হকের শিষ্যরা।
এদিন মোহামেডান খেলেছে চার বিদেশি ফুটবলার নিয়ে। অন্যদিকে আবাহনীতে কোনও বিদেশি ফুটবলার নেই। ফলে পিছিয়ে পড়ার পর আর চাপ সামলে ওঠতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুন: ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে এমবাপ্পেকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী আনচেলত্তি
ম্যাচের ১২ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো মোহামেডান। সতীর্থের ক্রসে ইমানুয়েল সানডের প্লেসিং ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়। ২০ মিনিটে দিয়াবাতের ক্রসে ঠিকমতো হেড করতে পারেননি সানডে। তার ৫ মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে মুজাফফরভের জোরালো শট বেরিয়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে শট নেন ইমানুয়েল টনি। তবে তার শট কোনোমতে তালুবন্দি করেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে গোলের দেখা পায় মোহামেডান। সতীর্থের ক্রসে ৬ গজের মধ্যে লাফিয়ে উঠে হেডে বল জালে জড়ান দিয়াবাতে।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে আবাহনী। তবে তাতেও তারা সফল হতে পারেনি। উল্টো একের পর আক্রমণ চালায় মোহামেডান। ৪৮ মিনিটে আর্নেস্ট বোয়েটাং ৬ গজের ঠিক বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শট নিলেও তা ওপর দিয়ে চলে যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব পাওয়ার পরেও দুশ্চিন্তায় সৌদি আরব
৬০ মিনিটে আবাহনী এক খেলোয়াড়ের শট চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। তার ১০ মিনিট পর মোহামেডানের রহিম উদ্দিনের ওভারহেড কিক পোস্টের পাশ দিয়ে বাইরে চলে যায়।
শেষ দিকে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে আবাহনী। যোগ করা সময়ে সুমন রেজার পাসে বক্সের ভেতরে আরমান ফয়সাল আকাশের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। এরপর আর সমতায় ফেরা হয়নি আবাহনীর। ১-০ গোলের জয় পায় মোহামেডান।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলো মতিঝিলের ক্লাবটি। তিন ম্যাচে শতভাগ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা শীর্ষে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় পাঁচে নেমে গেছে ধানমন্ডির ক্লাব আবাহনী। দিনের আরেক ম্যাচে ঢাকা ওয়ান্ডারর্সকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। তাতে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে দলটি। তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে দুইয়ে আছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
]]>