তিনি জানান, ইতোমধ্যে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে এবং তা সক্রিয়ভাবে বায়ুমান পরিমাপ করছে।
সোমবার (২৩ জুন) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং’ শীর্ষক দুইদিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে প্রশাসক আরও জানান, একটি গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকাগুলোর বায়ুমান নিয়মিতভাবে পরিবীক্ষণ করা হচ্ছে।
এই প্রকল্পটি ভাইটাল স্ট্রাটেজির আর্থিক সহায়তা এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা সংস্থা Nature Conservation Management (NACOM)-এর কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় সেন্সরভিত্তিক যন্ত্রের মাধ্যমে PM2.5 (বায়ুতে থাকা অতি ক্ষুদ্র কণা) এবং NO₂ (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) এর মতো দূষণ উপাদানসমূহ পরিমাপ করা হচ্ছে।
বর্তমানে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় যেমন উত্তরা, মোহাম্মদপুর, কাচকুড়া, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়, কমিউনিটি সেন্টার ও অঞ্চল কার্যালয়ের ছাদে বায়ুমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী করতে কাজ করছে ডিএনসিসি: এজাজ
ঢাকাকে একটি জলবায়ু সহনশীল নগর হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলেও প্রশাসক তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
এসময় তিনি বলেন, `ঢাকাকে একটি জলবায়ু সহনশীল ও পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।'
তিনি আরও জানান, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ডিএনসিসি এলাকায় ৩ থেকে ৫ লাখ গাছ রোপণ করা হবে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে ছোট ছোট সবুজ অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।
এছাড়া, লেক ও খালের পাড়ে সবুজায়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানসহ ডিএনসিসির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কর্মশালার শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।