ড্রেনের ভেতর দিয়ে পানি সরবরাহের পাইপলাইন, নাটোর পৌরসভায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

১ সপ্তাহে আগে
ড্রেনের ভেতর দিয়ে নেয়া হয়েছে নাটোর পৌরসভার পানি সরবরাহের পাইপ লাইন। এ কারণে অনেক এলাকায় অনিরাপদ হয়ে উঠেছে এই পানি। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ৬৩৭ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, অনিরাপদ পানি পান করায় ঘটেছে এমন ঘটনা। তবে পৌরসভার দাবি তাদের পানি নিরাপদ।

নাটোর শহরের প্রধান সড়ক সম্প্রসারণকালে পানি সরবরাহ লাইন সরিয়ে নিতে ২০২২ সালে পৌরসভাকে ২ কোটি ৭ লাখ টাকা প্রদান করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ওই বছরেই পৌরসভা পানির নতুন লাইন স্থাপন করে। তবে এখনো অনেক এলাকায় পুরানো লাইনে পানি সরবরাহ করছে পৌরসভা।

 

পাইপগুলো অনেক স্থানে ড্রেনের ভেতর দিয়ে স্থাপন করায় পৌরসভার অনেক এলাকার পানি অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ২ নম্বর ওয়ার্ডের ৬৩৭ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে স্বাস্থ্যবিভাগ ওই এলাকার সরবরাহ করা পানির দূষিত বলে জানায়।

 

নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মুক্তাদির আরেফীন জানান, বাসিন্দারা নিরাপদ পানি পান না করলে ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে না। টিউবওয়েল বা ফুটিয়ে পানি খেতে হবে এলাকাবাসীকে।

 

আরও পড়ুন: মশা থেকে বাঁচতে হরহামেশা কয়েল জ্বালানোয় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

 

এদিকে, ভয়ে বর্তমানে বেশিরভাগ বাসিন্দাই পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পান করছেন না। ঝাউতলা এলাকার আসমা খাতুন বলেন, পৌরসভার পানি খাওয়া বন্ধ করেছি; বাড়ির কাজে পানি ব্যবহার করছি। টিউবওয়েলের পানি খাওয়ার পর টিউবওয়েলের সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হয়েছে।

 

একই এলাকার রাশেদা বলেন, আয় কম হওয়ায় আগে পৌরসভার পানি খেতাম। কিন্তু এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপের পর পৌরসভা তিনটি টিউবওয়েল স্থাপন করেছে। বর্তমানে টিউবওয়েল থেকে পানি পান করছি।

 

সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, পানির লাইনে কোনো সমস্যা হলে রাস্তার মাঝখান খুঁড়ে মেরামত করা হয়। এর ফলে সড়কের ক্ষতি হচ্ছে এবং জনদুর্ভোগ বাড়ছে। নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান সরকার বলেন, ‘প্রায় সময় পাইপ লাইন মেরামতের জন্য রাস্তা খনন করা হয়, যা সড়কের স্থায়িত্ব কমিয়ে দিচ্ছে। এই বিষয়টি পৌরসভাকে একাধিকবার জানানো হয়েছে, কিন্তু প্রতিকার মেলেনি।’

 

অন্যদিকে, পৌর কর্তৃপক্ষ অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা দাবি করছেন, সরবরাহকৃত পানি নিরাপদ। নাটোর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, ডায়রিয়ার খবর পাওয়ার পর ৩ বার পানি পরীক্ষা করা হয়েছে, কোনো জীবাণু পাওয়া যায়নি। রাস্তার মাঝখান দিয়ে পানি সরবরাহের পাইপ রাখা হয়েছে কারণ পাশের জায়গা পর্যাপ্ত নয়; তবে এই পাইপ দ্রুত বন্ধ করা হবে।

 

উল্লেখ্য, নাটোর পৌরসভার সরবরাহ করা পানির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ২০০।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন