ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাইফুলকে বদলি করলেন রেজিস্ট্রার, ছাড়পত্র দিচ্ছেন না ডিন!

২ সপ্তাহ আগে
ডিনের ছাড়পত্র না পাওয়ায় বদলির ১৩ দিন পরও নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল আবেদীন।

সাইফুল আবেদিন বলেন, ‘আমাকে আলাওল হলে বদলি করা হয়েছে তবে কলা অনুষদের ভর্তি কেন্দ্রিক কাজগুলো আমি করি। এখনো এসব কাজ শেষ হয়নি। এছাড়া আমি কলা অনুষদের ডিনের কাছে কাজ করি। তিনি এখনো আমাকে কলা অনুষদ থেকে ছাড়পত্র দেননি বলে বদলির ১৩ দিন পরও আলাওল হলে জয়েন করতে পারছি না।’
 

গত ১৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে মো. সাইফুল আবেদীনকে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ থেকে আলাওল হলে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু আজ ২৬ আগস্ট পর্যন্ত তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি।
 

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইকবাল শাহীন খান বলেন, ‘সাইফুল হলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার, আর আলাওল হলে যে পোস্ট রয়েছে সেটি হলো সেকশন অফিসার, সেটা তো সমান হয় না। সে ফ্যাকাল্টিতে দীর্ঘদিন কাজ করতো। ফ্যাকাল্টির কাজ আর হলের কাজের মধ্যে পার্থক্য আছে। এখানে সে ভর্তি পরীক্ষার কাজগুলো সে করে। সে বিষয়ে সে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এই মুহূর্তে তাকে ছাড়লে কাকে দিয়ে কাজ করাব?’

আরও পড়ুন: চবিতে জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে সেমিনার

তিনি আরও বলেন, ‘বদলির বিষয়ে রেজিস্ট্রার আমার সঙ্গে পরামর্শ করেনি সে কারণেই আমি তাকে (সাইফুল) ছাড়তেছি না। কারণ এখানের কাজগুলো আমি অন্য কাউকে দিয়ে করাতে পারব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন হলে অন্য ব্যবস্থা করবে। যারা হলের কাজে অভিজ্ঞ আছে তাদের দিতে পারে। এখানে আমি আমার স্বার্থ দেখতেছি৷ আমার ফ্যাকাল্টির স্বার্থে আমি তাকে ছাড়তেছি না।’
 

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কলা অনুষদের ডিন চাচ্ছিলেন সাইফুল আবেদীনকে কলা অনুষদে রাখতে। কিন্তু আমরা এটাতে ইতিবাচক সাড়া দেইনি। সুতরাং তাকে যেখানে বদলি করা হয়েছে সেখানেই অফিস করতে হবে ‘
 

তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আলাওল হল থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ আসেনি, তাই কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। যখন বিষয়টি জানতে পেরেছি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন