ডিম কিনতে কেন মেক্সিকো ছুটছেন মার্কিনিরা!

২ সপ্তাহ আগে
চলমান মূল্যস্ফীতি আর ডিমের ঘাটতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে মেক্সিকো যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। দেশটির কৃষিপণ্যের বাজারে দেখা যাচ্ছে মার্কিনদের ঢল। লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ফেলছে বড় প্রভাব।

যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো সীমান্ত শহর টিওয়ানার বাজারগুলোয় বর্তমানে চোখ পড়লে দেখা যাচ্ছে মার্কিন নাগরিকদের ভিড়। গাড়ির নম্বর প্লেটই বলে দেয় তারা এসেছে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে। ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পাড়ি দিচ্ছেন মাইলের পর মাইল।

 

অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেখা যাচ্ছে এ দৃশ্য। মার্কিন বাজার বর্তমানে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে বলে জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, ওয়ালমার্টের মতো সুপার শপে কয়েক বছর আগেও ১৮ টা ডিমের দাম ১ থেকে ২ ডলারের মতো ছিল। এখন তা প্রায় ১০ ডলারে পৌঁছেছে।

 

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে একটি ডিমের দাম ৬৩ টাকা, কেন এত বাড়ল?

 

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এক ডজন ডিমের দাম মার্চে পৌঁছেছে রেকর্ড উচ্চতায়। এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে চলা বার্ড ফ্লু মহামারি, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, এবং বাজারে সরবরাহের সংকটের মতো কারণ।

 

শুধু ডিম নয়, দুধ ও অন্যান্য পণ্যের দামও বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। মার্কিন কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, ২০২০ সাল থেকে লাগাতার খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে।

 

২০২২ সালে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। যা ছিল চার দশকে সর্বোচ্চ। যদিও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, তবুও দাম এখনো করোনা মহামারির আগের সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও সেই তুলনায় এখনো সীমিত আয়। তাই বাধ্য হয়ে কম খরচে চলার নতুন কৌশল খুঁজছে অনেকে।


এমন পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি দুষছেন অনেকে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্ক বাড়ানো ব্যবসায়িক ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে, যার চূড়ান্ত চাপ পড়ছে সাধারণ জনগণের কাঁধে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন