তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হয় তা নিয়ে কথা বলেছেন জামালপুরের সফল ফ্রিল্যান্সার মো. ফারুক হোসেন।
ফারুক হোসেন বলেন, ফ্রিল্যান্সিং সাধারণত অনলাইনে প্ল্যাটফর্মগুলোতে হয় এবং এটি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেমন কন্টেন্ট লেখা, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, ইত্যাদি। তবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে প্রয়োজনীয় স্কিলের পাশাপাশি বেশকিছু বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলো হলো:
আত্মবিশ্বাস হারানো যাবে না
সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে নিজের ভেতরে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। কখনও আত্মবিশ্বাস হারানো যাবে না।
আমাকে দিয়ে হবে না এই রকম চিন্তা করা যাবে না
একটা কথা মনে রাখতে হবে, আমরা কেউ আসলে কোনো কিছু মায়ের পেট থেকে শিখে বা অভিজ্ঞতা নিয়ে আসি না। তাই কোনো সময় হতাশ হওয়া যাবে না। আমি পারব এরকম আত্মবিশ্বাস সব সময় নিজের মধ্যে রাখতে হবে।
প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখার মানসিকতা নিজের মধ্যে রাখতে হবে
ফ্রিল্যান্সিং এর সকল কাজ যেহেতু অনলাইন বেইজড তাই অবশ্যই সব সময় আপডেট থাকতে হবে এবং আপডেট কাজ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: চাহিদার শীর্ষে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, ১ আসনের জন্য লড়াই ২৫ জনের
শেখার সময় একাধিক বিষয়ে আগ্রহী হওয়া যাবে না
ফ্রিল্যান্সিংয়ে একটি নিদিষ্ট বিষয়ে অনেক দক্ষ হতে হবে। কোনো বিষয়ে অল্প স্কিল বা অল্প জানা দিয়ে হবে না। তাছাড়া শেখার সময় একাধিক বিষয়ে কাজ শেখা যাবে না। এতে হযবরল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
যেমন আজ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখলেন, কালকে আবার প্রোগ্রামিং শিখতে শুরু করলেন-এমন অবস্থা হলে কোনো দিন সফল হওয়া যাবে না। যে কোনো একটি বিষয়ে শিখতে হবে এবং সেই সেক্টরে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
শেখার আগেই আয়ের চিন্তা করা যাবে না
মাসে লাখ লাখ টাকা অনলাইন থেকে আয় করব এমন ভেবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যাবে না। নতুন যারা এখন ফ্রিল্যান্সিং করতে আসে তাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ এখন স্কিল অর্জন করার আগেই আয়ের চিন্তা করে। যা এই সেক্টরে ব্যর্থ হওয়ার জন্য একটা বড় কারণ।
ইংরেজিতে ভালো অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ইংরেজিতে কথা বলতে না পারলে ফ্রিল্যান্সিং-এ সফল হওয়া সম্ভব না। কারণ ক্লাইন্টদের থেকে কাজ নিতে হলে অবশ্যই তাদের সাথে কথা বলতে হবে। আপনি কী কাজ পারেন বা কীভাবে কাজ করবেন সেটা অবশ্যই ক্লাইন্টদেরকে বুঝাতে হবে তা না হলে ক্লাইন্ট আপনাকে কাজ দেয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
ফারুক হোসেন আরও বলেন, ‘শুরুতে কোনো কিছু বুঝতাম না। গুগল ও ইউটিউব ঘেঁটে শিখতে লাগলাম। সফলতার চেয়ে ব্যর্থতাই বেশি হতে লাগল। এখনকার মতো তখন এত কোর্সের ব্যবস্থাও ছিল না। অনেক ইচ্ছে ছিল ওয়েব-ডেভেলপমেন্টের ওপর কাজ করব। সেটাতে খুব বেশি সফলতা না আসায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ওপর কাজ করতে থাকি। এরপর পর্যায়ক্রমে এসইওর কাজ শিখে এগোতে থাকি।
নিজে আয় করার পাশাপাশি তরুণদের বেকারত্ব দূর করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ফারুক। তিনি মনে করেন, দেশের চাকরির বাজারে ঘুরে হতাশ না হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে একধাপ এগিয়ে নেয়া সম্ভব।
]]>