ডালিম নিয়ে পবিত্র কোরআনে যা বলা হয়েছে

৪ দিন আগে
গাছপালা ও উদ্ভিদ মহান আল্লাহর সৃষ্টির অপূর্ব নিদর্শন। কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন গাছপালা, ফলমূল ও শাকসবজির নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যা শুধু খাদ্য বা ওষুধ হিসেবেই নয়, বরং মানুষের জন্য উপদেশ, উপমা ও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেছে। তেমনই একটি ডালিম; এটি সুস্বাদু, রসালো ও পুষ্টিদায়ক ফল।

একে বেদানা বা আনার নামেও বলা হয়। ডালিমের আরবি প্রতিশব্দ ‘রুম্মান’। ইংরেজিতে বলা হয় পমিগ্রানেট। এর  বৈজ্ঞানিক নাম পিউনিকা গ্রানাটাম Punica granatum। ডালিমের আদি নিবাস প্রাচীন পারস্য অঞ্চলে।

 

ডালিমে রয়েছে বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধী গুণাগুণ। তবে অন্যান্য ফলের তুলনায় এ ফল কিছুটা দামি হওয়ার কারণে অনেকেই ডালিম খেতে চান না। কিন্তু আপনি কি জানেন, নিয়মিত ডালিম খেলে দেহে অসংখ্য উপকার পাওয়া যায়।

 

ডালিম ফল আয়ুর্বেদিক এবং ইউনানি চিকিৎসায় পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শুধু ফল নয়, ফলের খোসা থেকে শুরু করে গাছের শিকড়, ছাল, ফুল সবকিছুই রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।

 

ডালিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারসহ ভিটামিন কে, সি ও ভিটামিন বি রয়েছে। এ ছাড়াও আয়রন, পটাশিয়াম, জিংক ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো প্রচুর মিনারেল উপস্থিত ডালিমে। এগুলো শরীরকে চাঙা রাখতে একান্ত উপকারী। ডালিমের বীজেও রয়েছে উপকার। ডালিম শরবত করেও খাওয়া যায়।

 

আরও পড়ুন: শীতকালের সহজ কিছু আমল


পবিত্র কোরআনের তিন স্থানে রুম্মান বা ডালিম আলোচনা এসেছে। পবিত্র কোরআনের সুরা আর রাহমানে মহান আল্লাহ বলেছেন--

 

فِیۡهِمَا فَاكِهَۃٌ وَّ نَخۡلٌ وَّ رُمَّانٌ অর্থ: সেখানে রয়েছে ফলমূল—খেজুর ও আনার। (সুরা আর-রাহমান, আয়াত: ৬৮)

 

এছাড়াও পবিত্র কোরআনের আরেক স্থানে রুম্মান বা আনারের আলোচনা এসেছে। মহান আল্লাহ বলেন,

 

وَ هُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡشَاَ جَنّٰتٍ مَّعۡرُوۡشٰتٍ وَّ غَیۡرَ مَعۡرُوۡشٰتٍ وَّ النَّخۡلَ وَ الزَّرۡعَ مُخۡتَلِفًا اُكُلُهٗ وَ الزَّیۡتُوۡنَ وَ الرُّمَّانَ مُتَشَابِهًا وَّ غَیۡرَ مُتَشَابِهٍ ؕ كُلُوۡا مِنۡ ثَمَرِهٖۤ اِذَاۤ اَثۡمَرَ وَ اٰتُوۡا حَقَّهٗ یَوۡمَ حَصَادِهٖ ۫ۖ وَ لَا تُسۡرِفُوۡا ؕ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ

 

অর্থ: আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন এমন বাগানসমূহ, যার কিছু মাচায় তোলা হয় আর কিছু তোলা হয় না এবং খেজুরগাছ ও শস্য, যার স্বাদ বিভিন্ন রকম, জয়তুন ও আনার (ডালিম), যার কিছু দেখতে এক রকম আর কিছু ভিন্ন রকম। তোমরা তার ফল থেকে আহার করো, যখন তা ফল দান করে এবং ফল কাটার দিনেই তার হক দিয়ে দাও আর অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৪১)

 

আরও পড়ুন: নবীজির মেরাজ কখন হয়েছে?

 

তাফসিরবিদদের মতে, এখানে ফলমূলের কথা উল্লেখ করে আলাদা করে আবার খেজুর, ডালিমের কথা উল্লেখ করার কারণ হলো খেজুর ফল ও খাবার, আর ডালিম হলো ফল ও ওষুধ। (কুরতুবি)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন