গ্রেফতার হওয়া তিনজন হলেন—দুপচাঁচিয়ার বেরুঞ্জ গ্রামের আব্দুল হাকিম (৩৪), লক্ষীমন্ডপ গ্রামের আব্দুল মান্নান (৫০) ও আদমদিঘির বাসিকোড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪১)।
পুলিশ জানায়, মাদকাসক্ত হওয়ায় সেচ পাম্পের দায়িত্বে থাকা মান্নানকে অব্যাহতি দেন নিহত আফতাব। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে তার পরিচিত ডাকাত দলের সরদার আব্দুল হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। গত ৮ জুলাই রাতে মান্নান ডাকাতদলের ১১ সদস্যকে নিয়ে দেয়াল টপকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আফতাবের বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়িতে লুটপাট শুরু করে। একপর্যায়ে শ্বশুর ও পুত্রবধূ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে হাত-পা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে উভয়কে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: যৌতুক না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি, গর্ভের সন্তানের মৃত্যু
এরপর ডাকাতদল বাড়িতে থাকা নগদ সোয়া ছয় লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। সোমবার দিনগত রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডিবি পুলিশ ঢাকার কমলাপুরে অভিযান চালিয়ে মান্নান ও হাকিমকে গ্রেফতার করে। এ সময় নগদ সাড়ে ছয় হাজার টাকা এবং নিহত রিভার ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের আরেক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় কুড়িগ্রাম থেকে। পুলিশ বলছে গ্রেফতার তিন আসামি দায় স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার জন্য পাঠানো হবে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান বলেন, গ্রেপ্তার ডাকাত সরদার হাকিমের বিরুদ্ধে ৭ টি ও রফিকুলের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা আদালতে চলমান আছে। জোড়া হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।
]]>