বুধবার (১৪ মে) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চরফ্যাশন আদালতের বিচারক মো. শওকাত হোসাইন এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল রাতে চরফ্যাশনের উত্তর ফ্যাশন গ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাতি হয়। পরদিন বিকেলে জাফর ইমাম স্বপনকে ওই ডাকাতির সাথে জড়িত সন্দেহে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে।
দীর্ঘ তদন্তে উঠে আসে, নিহত জাফর ইমাম স্বপন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং ঘটনার আগের দিনও এলাকায় একটি ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ২৫ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে মোটরসাইকেলযোগে তুলে এনে লতিফ মিয়ার হাটে নির্যাতন করা হয়। তাকে রশি দিয়ে বেঁধে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়, পায়ের হাড় ভেঙে দেয়া হয়। নৃশংস নির্যাতনে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
চরফ্যাশন থানার তৎকালীন এসআই ছগীর মিয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
দীর্ঘ দশ বছর স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালত অভিযুক্তদের মধ্যে হাফেজ মনির উদ্দীন, তার ছেলে মো. ছাবিত, মোস্তফা জমাদার টুটুল এবং মো. জাভেদ মিয়াকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় সন্তান হত্যার দায়ে বাবার যাবজ্জীবন
অপরদিকে, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ না হওয়ায় মো. নাজিম উদ্দীন বাবলু, নিরব, রিপন মিয়া, মো. জাকির, মো. জুয়েল জমাদার, জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং মো. মাকসুদুর রহমানকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়।
]]>