দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা আছে এমন ৩০ জনের একটি তালিকা হাতে পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ৩০ জনের জন্য আলাদা করে ৩০ পাতার একটি বুকলেট পেপারের মতো ব্যালট পেপার করা হবে৷
এতে প্রতিটি পদের অবস্থান সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। হল সংসদের জন্য থাকবে তিন থেকে চার পৃষ্ঠার ব্রেইল ব্যালট। আর যেসব শিক্ষার্থী ব্রেইল পড়তে পারেন না, তারা আগের নিয়মেই একজন শিক্ষার্থীর সাহায্য নিয়ে ভোট দেবেন।
ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর। এ পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট নিতে প্রথমে আমরা হলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়েছিলাম। সাতটি হল থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীর তালিকা পেয়েছি। যাদের দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা আছে, কিন্তু ব্রেইল পড়তে পারেন— এমন শিক্ষার্থীরাই এই পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারবেন। আর যারা ব্রেইল পড়তে পারেন না, তারা আগের নিয়মে একজনের সাহায্য নিয়ে ভোট দেবেন। ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত পোলিং কর্মকর্তারাও তাঁদের সাহায্য করবেন।’
আরও পড়ুন: ডাকসুর ব্যালট ৫ পৃষ্ঠার, যেভাবে ভোট দেবেন শিক্ষার্থীরা
এই পদ্ধতিতে ডাকসুর ব্যালট পেপার হবে ৩০ পাতার, যা একটি পাতলা বুকলেটের মতো হবে। ডাকসুর ব্রেইল ব্যালটের শুরুতে পদের নামসহ একটি সূচিপত্র থাকবে, যা থেকে ভোটাররা ব্যালটের কোন পাতায় কোন পদের তালিকা আছে, সেটি সহজেই খুঁজে পাবেন। আর হল সংসদের ব্যালট হবে তিন থেকে চার পাতার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। হলের বাইরে আটটি কেন্দ্রে ভোট দেবেন শিক্ষার্থীরা। এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচনে ভোট হবে ১৩টি পদে। হল সংসদের মোট ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন। সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হবে।
অন্যবারের তুলনায় এবার ডাকসুতে ব্যালটের আকার বেড়েছে- থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট। আর হল সংসদের থাকছে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। ভোট দিতে হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিটে।
]]>