শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাবি ছাত্রদলের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করবেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সকল হল শাখা ছাত্রদলের কর্মীরা নিজ নিজ হল প্রাঙ্গণ ও ক্যাম্পাসের অন্যান্য অঙ্গনে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এ খবর ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদসহ একাধিক নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেছেন।
ঢাবি ছাত্রদলের এমন কর্মসূচি আচরণবিধি লঙ্ঘন কি না–শনিবার ডাকসু নির্বাচন কমিশনের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি উঠে আসে। চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, ‘এটা নিয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে আমরা অবশ্যই সেই গ্রুপকে সতর্ক করব।’
আরও পড়ুন: কেন্দ্র দূরে সরিয়ে ভোট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চেষ্টা চলছে: আব্দুল কাদের
এ বিষয়ে ছাত্রদল সমর্থিত এজিএস পদপ্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ সময় সংবাদকে বলেন, ‘এটাকে সেবামূলক কোনো কর্মকাণ্ড মনে করছি না। নির্বাচনের সময় লিফলেট বা কাগজপত্র ফেলে আমরা ক্যাম্পাস নোংরা করেছি। সেটা পরিষ্কার করতে চাই। এটি কোনো সেবামূলক কাজ নয়। আমাদের ক্যাম্পাস আমরাই পরিষ্কার করছি। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ার মতো কিছু বলে মনে করি না।’
উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থী বা পক্ষ ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক কোনো সেবামূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না। কোনো ধরনের উপঢৌকন বিলি-বণ্টন, আপ্যায়ন বা অর্থ সহযোগিতার মাধ্যমে কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া সুস্পষ্টভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে। তবে ডাকসুর ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।