ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাগ্বিতণ্ডার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ভিসি চত্বরে এ আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে আওয়ামীপন্থি তিন সদস্যের নিমন্ত্রণ ও সিন্ডিকেটে ডাকসু নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ খানের সঙ্গে ছাত্রদলের হট্টগোলের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। পরে তারা এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১১টায় ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়া থেকে মিছিল বের করে তারা বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বরে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা ডাকসু বন্ধের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় আছি। আমরা লীগকে বিতাড়িত করেছি, কোনো ছাত্রসংগঠনের ভয়ে ডাকসু থেকে পিছু হটবো না। যারা ডাকসুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, কবরস্থান, টেম্পুস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে তাদের আমরা ১৭ জুলাই লাল কার্ড দেখিয়েছি। প্রশাসনের কাছে বলবো, আপনারা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
আরও পড়ুন: সিন্ডিকেটের অভিযোগে ঢাবি সাদা দলের পাল্টা কমিটি ঘোষণা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবি জোবায়ের বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থীরা হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছে। সুতরাং নতুন করে যদি দানব তৈরি হয়, শিক্ষার্থীরা তাদের পালাতে বাধ্য করবে। ঢাবি শিক্ষার্থীরা আর কোনো দানবকে দেখতে চায় না। ছাত্রদল যখন দেখেছে তারা ডাকসুতে জিততে পারবে না, তখন তারা ভিসি স্যারের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করার সাহস দেখিয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা এই প্রশাসনের সঙ্গেই আছি। অনতিবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিয়ে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার উপাচার্যকে হেনস্তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসু নির্বাচেনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার আলটিমেটাম দেন।