ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি সকল শিক্ষার্থীর কাছে যাওয়ার জন্য। সবার কাছে আমাদের মুল বার্তা ছিল, শিক্ষার্থীদের কথাই আমাদের কথা, তাদের আকাঙ্ক্ষাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা।’
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট নির্বাচিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ উন্নীত করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী একমাসে কোন কোন কাজ করব তা ইশতেহারে দিয়েছি। আমরা আমাদের নীতিগত জায়গায় কাজ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করব। শিক্ষক মূল্যায়ন নিয়ে কাজ করব। লাইব্রেরি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো নিয়ে কাজ করব।’
নারী শিক্ষার্থীদের জন্যা নিরাপদ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থী বোনদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগেই কেন জিতে যাওয়ার কথা বললেন মেঘমল্লার?
জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট জয়ী হলে দেশের মানুষ জয়ী হবে। শুধু ডাকসু নয়, পুরো বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হবে। ভালবাসার বিজয় হবে, যেখানে একজন আরেকজনের মতকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করবে।’
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচন। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনের আগে রোববার ছিল প্রচারণার শেষদিন। দিনভর প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেন। প্রার্থীরা লিফলেট বিতরণ, সরাসরি প্রচারণা ও শপথ কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।
নারী শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলোতে প্রজেকশন মিটিং করে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। এসব মিটিংয়ে হলের আবাসিক নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। এ সময় তারা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
মিটিংগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে ও পদ্ধতিমাফিক নারী শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পূরণ করার আশ্বাস দেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের নেতারা। এ সময় নেতারা নারী শিক্ষার্থীদের থেকে তাদের চাহিদা ও দাবিগুলো লিখিতকারে সংগ্রহ করেন এবং বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন।
]]>