ডাকসু নির্বাচন: ঢাবি ভিসির সঙ্গে ছাত্রদল নেতাদের বাগ্‌বিতণ্ডা

৩ সপ্তাহ আগে
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাদের উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও জামায়াত-শিবিরের সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকের সময় এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোট শেষে ভিসির সঙ্গে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এই বৈঠকে যোগ দেয়।


এ সময় ভিসি বলেন, ‘নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং অভিযোগ পেলে নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে।’ 


তিনি দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত থেকে দায়িত্ব পালন করেছে। বিকেল সাড়ে চারটার আগে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক জমায়েতের তথ্য আমাদের কাছে ছিল না।


অন্যদিকে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, জামায়াত-শিবির ক্যাম্পাস ঘিরে আটটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে এবং প্রশাসন সারাদিন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। তারা ভিসিকে সরাসরি জামায়াতপন্থী বলে অভিযুক্ত করে বলেন, ঢাবি প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় জামায়াতে ইসলামী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।


এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ভিসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'বাইরে থেকে স্টুডেন্টরা আসলো না। নারী শিক্ষার্থীরা আসেনি। বাসগুলো কম আসলো। আপনি বোঝেন নাই?' এই কথা বলতে বলতে উত্তেজিত হয়ে টেবিলে চড় মারেন তিনি।


আরও পড়ুন: যে নির্বাচন আশা করেছিলাম, তা হয়নি: আবিদুল


এসময় ভিসি তাকে বলেন, ‘আপনি চুপচাপ বসে যান। কোনো জায়গায় শুনিনি, স্টুডেন্ট কম এসেছে।’ ছাত্রদলের উপস্থিত নেতারা এসময় চেঁচামেচি করেন।


ভিসি বলেন, ‘আমার সঙ্গে চিৎকার চেঁচামেচি করে লাভ নাই। আমি ওই ধরনের না। সভ্য সংলাপ করুন। আপনাকে আমি সম্মান করি, একইভাবে আপনার কাছ থেকে সম্মান আশা করি। আমরা কোথাও শুনিনি যে, ভোটার উপস্থিতির কমতি ছিল। আজকে সবচেয়ে বড় টার্নআউট ছিল এই ক্যাম্পাসে। তোমার বক্তব্য তোমার, সেটাকে আমি সম্মান করি। আমি যেটা বললাম সেটা পুরো দেশবাসীকে জানালাম।’


তবে নিয়াজ আহমেদ দাবি করেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই, আমি সবার সহযোগিতায় কাজ করতে চাই।’


বৈঠকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য আদানপ্রদান এবং নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন