বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ইউনিয়নটির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভাওয়ালিয়া পাড়া এলাকায় অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বিভিন্ন গ্রামের তিন শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।
এ সময় স্থানীয়রা জানান, কায়েতপাড়া ইউনিয়নে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অন্তত ত্রিশটি ডকইয়ার্ড প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে জাহাজ নির্মাণ ও পুরনো জাহাজ মেরামত কাজে জাহাজের গায়ে লেগে থাকা জং তুলতে স্যান্ড ব্লাস্টিং নামে ক্ষতিকর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমপ্রেসর যন্ত্রের মাধ্যমে সিলেটি সিপ্টিন বালু জাহাজের গায়ে নিক্ষেপের কারণে জাহাজের গায়ে লেগে ধুলো-বালি বাতাসের মাধ্যমে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে চর্মরোগ ও শ্বাসকষ্টজনিত নানা রোগসহ দুরারোগ্য ক্যান্সারেও আক্রান্ত হচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
তাদের অভিযোগ, এর প্রতিবাদ করায় প্রভাবশালী ডকইয়ার্ড মালিকদের লোকজন এলাকাবাসীকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন। এছাড়া দূষণের বিষয়ে এরআগে বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও ডকইয়ার্ডগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এলাকার পরিবেশ, বায়ু ও শব্দ দূষণ বন্ধে ক্ষতিকারক স্যান্ড ব্ল্যাস্টিং ব্যবহারকারী ডকইয়ার্ডগুলোর কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ: ঢাকাবাসীকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা
ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন শেষে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অভিযোগের বিষয়ে ডকইয়ার্ড মালিকরা দাবি করেন, বিআইডব্লিউটিএসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সবগুলো সংস্থার অনুমোদন ও লাইসেন্স নিয়ে বৈধভাবেই তারা ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
তবে এলাকাবাসীর সমস্যা মেনে নিয়ে জনতা শিপ বিল্ডার্সের সত্ত্বাধিকারী শরীফ হোসাইন বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ, পরিবেশ অধিদফতর ও ফায়ার সার্ভিসসহ যতোগুলো সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন আমরা সবগুলো সংস্থার অনুমোদিত নিয়ে বৈধভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এতোদিন কেউ কোনো অভিযোগ তোলেনি। এখন যেহেতু এলাকাবাসী সমস্যার কথা বলছে, আমরা বিষয়টি বিবেচনা করেছি। সরকারি জমির লিজের মেয়াদ শেষ হলে আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমাদের নিজস্ব জায়গায় স্থানান্তর করে ফেলব।’