সোমবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বগুড়া শহরতলির সিল্কিবান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক সামছুল ইসলাম জানান, তিনতলা ভবনের নিচতলায় অবস্থিত অফিসটিতে ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়মিত কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল বিকেলে সবাই ছুটি শেষে চলে যান। রাতে দায়িত্বে ছিলেন তিন প্রহরী নুরুজ্জামান, সাখাওয়াত ও জয়নাল।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, পূর্ব দিক থেকে মুখোশ পরিহিত সাতজন দুর্বৃত্ত ভেতরে ঢুকে প্রথমে তিন প্রহরীকে বেঁধে ফেলেন এবং তাঁদের মোবাইল ফোন নিয়ে নেন। এরপর অফিসের তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ১২টি টেবিলের ড্রয়ারের তালা ভেঙে টাকা তছনছ করে নিয়ে যায়। তারা একটি সিন্দুক গ্যাস কাটার দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করলেও তাতে সফল হয়নি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে অফিস খুলতে এসে কর্মচারীরা ডাকাতির ঘটনা আবিষ্কার করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: চেতনানাশক খাইয়ে লুট, স্বামী-স্ত্রীসহ ‘অজ্ঞান পার্টির’ তিনজন গ্রেফতার
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান সাংবাদিকদের জানান, তিন প্রহরীর কথাবার্তায় অসংগতি পাওয়া গেছে। তাদের সঙ্গে ডাকাত দলের যোগসূত্র থাকার আশঙ্কা রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, লুট হওয়া টাকার পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।