ঠাকুরগাঁওয়ে পাহারাদারকে বেঁধে শিক্ষকের খামার থেকে ৭ গরু চুরি

২ সপ্তাহ আগে
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় গভীর রাতে একটি গরুর খামারে কর্মরত দুই পাহারাদারকে বেঁধে ৭টি গরু চুরি করেছে সংঘবদ্ধ চোরচক্র। খামার মালিকের দাবি, চুরি হওয়া গরুগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা।

বুধবার (২৫ জুন) রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের বড়বাড়ী গ্রামে কলেজ শিক্ষক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদের খামারে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের আলহাজ্ব শামসুল হক মাস্টারের ছেলে এবং ঠাকুরগাঁওয়ের একটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।


খামারে কর্মরত দুই ব্যক্তি নিয়মিত গরুগুলোর পরিচর্যা ও পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। তাদের একজন আনছার বলেন, 'রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে প্রথমে একজন চোর আসে, পরে আরও ৯ জন ঢুকে পড়ে। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। তারা আমাদের হাত-পা বেঁধে মুখে টেপ লাগিয়ে রাখে। একজনকে মারধরও করে। হুমকি দেয়, চিৎকার করলে মেরে ফেলা হবে। সকালে খামার মালিক এসে আমাদের উদ্ধার করেন।'


খামারের মালিক আবুল কালাম আজাদের বাবা শামসুল হক বলেন, 'আমার ছেলে শহরে থাকেন। গ্রামের বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে গরুর খামারটি পরিচালনা করেন তিনি। ওই রাতে চোরেরা দেয়াল ভেঙে খামারে ঢুকে কর্মীদের বেঁধে রেখে ৭টি গরু নিয়ে যায়। খামারে মোট ২১টি গরু ছিল। তারা ৯টি গরু নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ২টি ছুটে পালিয়ে যায়। গরুগুলোর বাজারমূল্য আনুমানিক ১২ লাখ টাকা।'


আরও পড়ুন: খামারিকে হত্যা করে গরু ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৭


আবুল কালামের দুলাভাই লিটন বলেন, 'খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এই সংঘবদ্ধ চোরচক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। ওদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনলে চুরির প্রবণতা কমবে।'


খামার মালিক আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি বাড়ির বাইরে থাকায় থানায় গিয়ে নিজে অভিযোগ দিতে পারেননি। তার ছোট ভাইকে পাঠানো হয়েছে বালিয়াডাঙ্গী থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য।


এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী বলেন, 'খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন