ঠাকুরগাঁওয়ে আসামি ছিনতাই, ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

৩ ঘন্টা আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (১০ মে) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রনজু মিয়া। এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ মে) বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন তিনি।

 

তিনি বলেন, ‘আসামিকে আটকে রাখা হলে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ জন অজ্ঞাত আসামিকে অন্তর্ভুক্ত করে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

 

মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন, রহিমানপুর ইউনিয়নের আরাজী পাইকপাড়া এলাকার মো. সজল (২৫), হোসেন আলীর ছেলে হুমায়ুন (২২), সুগার মিলের কর্মচারী মো. রমজান (৫৫), মো. বাদশা মিয়া (৩৫), সামছুল হকের ছেলে শাহাজাহান ওরফে মঙ্গলু (৪১), কালীতলা এলাকার আকতার (৪৮) এবং মৃত মঙ্গলুর ছেলে মো. আমিরুল ইসলাম (৫৫)।

 

আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ভারত থেকে আসা ১০ বাংলাদেশি আটক

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে এএসআই রনজু মিয়া ও এএসআই মাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল পরোয়ানাভুক্ত আসামি শাহাজাহান মঙ্গলুকে গ্রেফতার করতে গেলে অভিযুক্তরা পুলিশের কাজে বাধা দেয়। এ সময় তারা গালাগালি, চিৎকার এবং পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে। সজল নামে একজন বাঁশের লাঠি দিয়ে এএসআই মাইদুল ও রনজুকে পিটিয়ে জখম করে।

 

এছাড়া বাদশা মিয়া, শাহাজাহানসহ আরও অন্তত ২০-২৫ জন কনস্টেবল ইউনুস আলীকে মারধর করে এবং পুলিশের হেফাজতে থাকা আসামি শাহাজাহানকে ছিনিয়ে নেয়।

 

পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরোয়ারে আলম খান বলেন, ‘সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন