ট্রায়াল দিতে বাংলাদেশে এসেছেন ৪৩ প্রবাসী ফুটবলার, আরও ৫ জন পৌঁছাবেন সকালে

১ সপ্তাহে আগে
আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু বিএফএফ নেক্সট গ্লোবাল স্টার ট্রায়ালের। যেখান থেকে দেশের ফুটবলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করেন বাফুফের সহ সভাপতি ফাহাদ করিম। এদিকে ট্রায়ালে অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত প্রবাসী ফুটবলাররা। বয়সভিত্তিক দলের পাশাপাশি জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রবাসী ফুটবলারদের মিলনমেলা। আনুষ্ঠানিকভাবে স্বপ্ন যাত্রা শুরু বিএফএফ নেক্সট গ্লোবাল স্টার ট্রায়ালে অংশ নেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের। লাল-সবুজের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন নিয়ে ট্রায়াল দিতে ইংল্যান্ড-ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী ফুটবলাররা এসেছেন বাংলাদেশে। 

 

ট্রায়াল শুরুর আগে জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবলারদের পরিচয়পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্টেডিয়ামের মাঠ ও ফ্যাসিলিটি ঘুরে দেখেন খেলোয়াড়রা। পরিবারের সঙ্গে স্মরণীয় মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করে রাখেন তারা। 

 

হামজা-সমিতদের মতো ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন ট্রায়ালে অংশ নিতে যাওয়া সবাই। তবে এর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে তাদের। বাফুফের এমন আয়োজন খেলোয়াড় ও ফেডারেশনের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনবে বলে মনে করেন অংশগ্রহণকারীরা। 

 

ফুটবলারদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও স্বপ্ন দেখছেন লাল সবুজ জার্সিতে একদিন আলো ছড়াবেন তরুণ প্রবাসী ফুটবলাররা। ট্রায়াল মঞ্চ থেকে দেশের ফুটবলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ হবে, প্রত্যাশা বাফুফের। অনূর্ধ্ব ১৯ ও ২৩ দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে শনি থেকে সোমবার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ট্রায়াল। 

 

আরও পড়ুন: গ্লোবাল স্টারের খোঁজে বাফুফে, ট্রায়ালে অংশ নেবেন ১৪ দেশের ৫২ জন

 

শুক্রবার বিকালে খেলোয়াড়দের ওরিয়েন্টেশন ও রেজিস্ট্রেশনের পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম জানালেন, ট্রায়ালে অংশ নেবে ৪৮ জন। 

 

‘চূড়ান্তভাবে ৪৮ জন ট্রায়ালে অংশ নেবে, এখানে ৪৩ জন আছে, বাকি পাঁচ জন এখনও ফ্লাইটে, কাল সকালে তারা পৌঁছাবে। আজকে নিবন্ধন হয়েছে, আগামী তিন দিন কী হবে, কারা থাকবেন (মূল্যায়নে) সেসব বিষয়ে তাদের জানানো হয়েছে। তাদের বাবা-মায়ের সাথে আমাদের সহকর্মীরা কথা বলেছেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এবং বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের প্রতি আস্থা রেখে তারা নিজেদের খরচে ছেলেদের ট্রায়ালে নিয়ে আসায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। একই সাথে তাদেরকেও জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিনে কী হবে।’ 

 

‘আগামীকাল (শনিবার ২৮ জুন) ট্রায়াল শুরু হবে। দুই গ্রুপ করা হয়েছে, অনূর্ধ্ব-১৯ ও ২৩। সকাল বেলা দুই ঘণ্টা ও বিকাল বেলা দুই ঘণ্টা, এটাও ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে হবে, কাল যারা সকালে করবে, পরের দিন তারা বিকালে আসবে, এভাবে।’ 

 

ডেনমার্ক প্রবাসী সাকিব মাহমুদ, যিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বন্ধু, তিনি ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় কাজ করছেন সমন্বয়ক হিসেবে। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অধিকাংশই এসেছেন সাকিবের মাধ্যমে। গুটি-কয়েকজন এসেছেন বাফুফের সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে। 

 

আরও পড়ুন: বাহরাইন ম্যাচের আগে তিন গোলকিপারের বাড়তি প্রস্তুতি

 

ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি দুই জন ফুটবলার চোটে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ফ্লাইট সংকটের জন্য একজনের রিশিডিউল হয়েছে। পাঁচ জন সেখানে আটকে ছিল ফ্লাইট বন্ধ থাকায়। তারা এখন দোহা থেকে ঢাকার পথে রয়েছে।’ 

 

ট্রায়াল শেষেই যে তারা বাংলাদেশের হয়ে খেলার নিশ্চয়তা পাবে, ব্যাপারটা এমন নয়। তারা থাকবেন বাফুফের রাডারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের ডাকা হবে বলে জানালেন ফাহাদ করিম। 

 

‘ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ফুটবলারদের তথ্য, ভিডিও থাকবে আমাদের ট্যাকনিক্যাল বিভাগের কাছে। আমাদের কোচদের যখন প্রয়োজন হবে তখন সেই তথ্যের ভিত্তিতে খেলোয়াড়দের ডাকবেন।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন